মঙ্গল. এপ্রি ১৬, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

39খোলা বাজার২৪, সোমবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬: চলতি শীতের মৌসুমের শুরু থেকে হিমালয় এবং সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে অতিথি পাখিরা উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে জলাশয়, বিল হাওর এবং প্রধান নদীগুলোতে আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় লোক এবং বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সহ উত্তরের জেলাগুলোতে জেলাগুলোতে আগে এমনকি দুই দশক আগেও বিপুল সংখ্যক অতিথি পাখি আসতো।
আরডিআরএস বাংলাদেশের কৃষি ও পরিবেশ সমন্বয়ক মামুনুর রশিদ বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সা¤প্রতিক বছর গুলোতে অতিথি পাখির সংখ্যা কমছে।
তিনি বলেন, হিমালয়, সাইবেরিয়ান, নেপাল, জিনজিয়াং এবং মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা অব্যাহত বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু প্রজাতির পাখির জন্য শীত মৌসুমেও এসব এলাকা বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে।
বেগম রোকেয়া ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, জলাভূমি হ্রাস পাওয়ায় এবং জলাশয় থেকে অনেক প্রজাতির মিঠা পানির মাছ বিলুপ্ত হওয়ায় অতিথি পাখি আগমনের সংখ্যা কমছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এবং নদীগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় জীববৈচিত্র্য, বাস্তুসংস্থান এবং পরিবেশের ওপর হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে অনেক প্রজাতির মাছ, পোকা-মাকড়, পাখি কমে যাচ্ছে এবং কিছু প্রাণীর বিলুপ্তি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ড. তুহিন বলেন, এর ফলে অতিথি পাখির আগমনের সংখ্যা কমছে এবং শীত মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই জলাভূমি শুকিয়ে যাওয়ায় অতিথি পাখিদের অবস্থানের সময় কমে যাচ্ছে।
স্থানীয় বৃদ্ধ দেলোয়ার হোসেন (৭৫) বলেন, ব্রহ্মপুত্রের চর এলাকায় কিছু সংখ্যক বালিহাঁস, সামুকাল, ব্রাইট, রোজ কিং, বালি লিনজা, চিটি, সরাইল, বইকাল, নিলশির, পিয়াং, পানকৌড়ি, রাঙামুড়ি, পিনটাইল, পান্তামুখী, চখাচখি এবং খঞ্জনা অতিথি পাখি দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার নুনখোয়া, মাদারগঞ্জ, নারায়ণপুর, যাত্রাপুর, বেগমগঞ্জ, হাতিয়া, কোদালকাঠি, অষ্টমীর চর, নয়ারহাট, মোহনগঞ্জ এবং তাজের হাটে কিছু সংখ্যক অতিথি পাখি দেখা যাচ্ছে।
কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের হর্টিকালচার বিশেষজ্ঞ খন্দকার মেজবাহুল ইসলাম বলেন, সা¤প্রতিক বছরগুরোতে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় অতিথি পাখির সংখ্যা কমছে।
তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চোরা শিকারী, পাখি ধরা এবং বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ করার জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানান।