বৃহঃ. এপ্রি ১৮, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি ২০১৭: 19বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুক্রবার শুরু হয়েছে। এতে অংশ নিতে মাঘের শীত উপেক্ষা করে দলে দলে মুসল্লিরা টঙ্গীর তুরাগতীরে আসতে শুরু করেছেন।
শুক্রবার বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৫২তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। ইজতেমায় অংশ নিতে ১৭টি জেলার মুসল্লিরা বুধবার থেকে ইজতেমাস্থলে আসতে শুরু করেন।
দ্বিতীয় পর্বে ১৭টি জেলার মুসল্লিদের জন্য ২৬টি খিত্তা নির্ধারণ করা আছে। ইজতেমা ময়দানে জেলাওয়ারি খিত্তায় মুসল্লিরা অবস্থান নিচ্ছেন।
আগামী ২২ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ৫২তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
শুক্রবার বাদ ফজর থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় পর্বের আমবয়ানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বুজর্গ আলেমরা ঈমান, আমল, আখলাক ও কালেমা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান শুরু করেন।
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমারও প্রথম দিন শুক্রবার হওয়ায় কয়েক লাখ মুসল্লি নিয়ে বৃহৎ জুমার নামাজ আদায় করা হবে। জুমার নামাজে গাজীপুর ও আশপাশের এলাকার বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেবেন।
ইজতেমা সূত্র জানায়, বাদ ফজর আমবয়ান করেন ভারতের হযরত মাওলানা মোহাম্মদ শামীম। এ বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মো. নূর রহমান।
ইতিমধ্যে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় অংশ নিতে সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত, ইরাক, তুরস্ক থেকে শুরু করে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার প্রায় কয়েক হাজার বিদেশী মেহমানসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমা স্থলে হাজির হয়েছেন।
এ পর্বের ইজতেমায় আগত মানুষের ঢল অব্যাহত থাকবে রোববার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত।
২৬ খিত্তার মধ্যে- ১নং থেকে ৫ ও ৭নং খিত্তায় ঢাকা, ৬নং খিত্তায় মেহেরপুর, ৮নং খিত্তায় লালমনিরহাট, ৯ নং খিত্তায় রাজবাড়ী, ১০নং খিত্তায় দিনাজপুর, ১১নং খিত্তায় হবিগঞ্জ, ১২ ও ১৩ নং খিত্তায় মুন্সীগঞ্জ, ১৪ ও ১৫নং খিত্তায় কিশোরগঞ্জ, ১৬নং খিত্তায় কক্সবাজার, ১৭ ও ১৮নং খিত্তায় নোয়াখালী, ১৯নং খিত্তায় বাগেরহাট, ২০নং খিত্তায় চাঁদপুর, ২১ ও ২২নং খিত্তায় পাবনা, ২৩নং খিত্তায় নওগাঁ, ২৪নং খিত্তায় কুষ্টিয়া, ২৫নং খিত্তায় বরগুনা এবং ২৬নং খিত্তায় বরিশাল জেলার মুসল্লিরা অবস্থান নেবেন।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বেও মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বের জন্যে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে। পাঁচ স্তরের এ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে ইজতেমা ঢেকে রাখা হয়েছে।
তাবলিগের মুরুব্বী গিয়াস উদ্দিন জানান, মুসল্লিদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ২০১১ সাল থেকে দেশের ৬৪ জেলার মুসল্লিদের জন্য দুই দফায় বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়। কিন্তু ক্রমবর্ধমান মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১৫ সাল থেকে দেশের ৩২টি জেলার মুসল্লিদের জন্য দুই দফায় বিশ্বইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বলে তিনি জানান।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, এখন এক বছর পর পর ৩২ জেলার মুসল্লিরা ইজতেমায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ২০১৫ সাল থেকে এ আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু হয়েছে।