শনি. এপ্রি ২০, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

9kখােলা বাজার২৪।। বুধবার, ২৯ মার্চ ২০১৭: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এক ঐতিহাসিক চিঠিতে স্বাক্ষর দিয়ে ‘গুডবাই’ জানালেন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে। আর্টিকাল ফিফটিতে সম্মতির পর এ ধরনের স্বাক্ষরের পর থেরেসা মে তার দ্বিধাবিভক্ত জাতির উদ্দেশ্যে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করেছি, এখন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়। কার্যত এ চিঠিতে থেরেসা মে’র স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে ইইউ থেকে ব্রিটেনের সরে যাওয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হল।
থেরেসা মে বলেন, ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ত্যাগ করে এক গুরুত্বপূর্ণ যাত্রা শুরু করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে আসার ব্যাপারে গণভোট নিয়ে যে তিক্ততা রয়েছে তা ভুলে যাওয়ার জন্যে ব্রিটেনের জনগণকে তিনি আহবান জানান।
মে বলেন, ‘আমরা এক মহান জনগণ ও জাতির সমষ্টি, গর্ব করার মতো ইতিহাস ও ভবিষ্যত রয়েছে আমাদের। যখন ইইউ ছেড়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন সময় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। থেরেসা মে বলেছেন, এটা আমার একান্ত ইচ্ছা যে ব্রিটেনের প্রতিটি জনগণ ব্রেক্সিটের ব্যাপারে সঠিক ভূমিকা রাখবেন।
ইইউ থেকে ছেড়ে আসার সিদ্ধান্ত সম্বলিত একটি চিঠি ইইউ’তে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার টিম ব্যারো ইইউ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের কাছে হস্তান্তর করেন। এর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ইইউ থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া। গণভোটে ব্রিটেন ইইউ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক ও আলোচনা হয়েছে।
তবে পুরোপুরি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হতে আরো দুই বছর আলোচনার পর ২০১৯ সালের মার্চ নাগাদ ব্রিটেন চূড়ান্তভাবে ইইউ থেকে সরে দাঁড়াবে। ব্রিটেনের জনগণ কার্যত এখনো দ্বিধাবিভক্ত যে তারা ইইউ থেকে সরে যাবে না কি যুক্ত থাকবে। এর পাশাপাশি স্কটল্যান্ডও স্বাধীনতার জন্যে গণভোটের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে বিরোধী অবস্থানে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টারের সঙ্গে স্বাধীনতার জন্য গণভোট না দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মে।
এদিকে ব্রাসেলসে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেছেন, ব্রেক্সিট নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত যেন ইইউ না নেয় যা ব্রিটেনের জন্যে শাস্তিমূলক হয়। সাদিক খান ব্রেক্সিট নিয়ে শীর্ষ মধ্যস্ততাকারী গাই ভারহফসটাডকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত শুধু ব্রিটেনের অর্থনীতির জন্যে ক্ষতির কারণ হবে না বরং তা ইউরোপকেও আঘাত হানবে।
তবে ইইউ থেকে সরে দাঁড়ালেও ব্রিটেন ইউরোপের ঘনিষ্ট ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সহযোগী হিসেবে থাকবে বলে দেশটির শীর্ষ রাজনীতিবিদরা আশা করছেন। মিরর