শুক্র. এপ্রি ১৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

191813tofael1_kalerkantho_picখােলা বাজার২৪।। বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৭: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ইপিজেডে শ্রমিক ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে সরকার বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে শ্রম আইন সংশোধন করে সময়োপযোগী করা হয়েছে। ইপিজেড এ শ্রমিক ইউনিয়নের আদলে ওয়ার্কার্স ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন গঠনের অধিকার দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা সেখানে মালিক পক্ষের সঙ্গে বার্গেনিং করতে পারছে, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখছে।

মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাংলাদেশে সফররত জার্মানীর ফ্রেডরিক-এবার্ট-স্টিফটাং (এফইএস) এর ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাইকেল সোমারএর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এ সময় জার্মানীর রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিন্জ, এফইএস এর এশিয়া এন্ড দি প্যাসিফিকের প্রধান জুর্জেন স্টেটিটেন, বাংলাদেশের রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ ফ্রানজিসকা কর্ন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুন্সী শফিউল হক, অতিরিক্ত সচিব(এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম এবং ডব্লিউটিও এর মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার শ্রমিকদের বিষয়ে খুবই আন্তরিক। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর দেশের তৈরী পোশাক কারখানাগুলোকে নিরাপদ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের আটটি ইপিজেড-এ প্রায় ৪ লাখ শ্রমিক কাজ করছে। বাইরের শ্রমিকদের চেয়েও তারা বেশি বেতন ও সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। এখানকার শ্রমিকরা চান নিজেদের মধ্যে শ্রমিক সংগঠন তৈরী করতে। বাইরের কাউকে তারা নিজেদের নেতা নির্বাচন করতে চান না।

জার্মানীর সঙ্গে বাংলাদেশে সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জার্মানী বাংলাদেশের বড় রপ্তানি বাজার। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে এভ্রিথিং বাট আর্মস (ইবিএ)-এর আওতায় জিএসপি সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৫৫ ভাগ আসে ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন থেকে। একক দেশ হিসেবে জার্মানী বাংলাদেশে দ্বিতীয় বড় রপ্তানি বাজার।

ডেলিগেশন প্রধান মাইকেল সোমার বলেন, জার্মানী বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী এবং ভালো বন্ধু। জার্মানী বাংলাদেশের সাথে আরো বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। বাংলাদেশ শ্রমিকদের জন্য অনেক কিছু করেছে, তা প্রশংসা পাবার যোগ্য। বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে এখন বাংলাদেশে শ্রমিকরা নিরাপদ। জার্মানী চায় আইএলও নির্ধারিত শ্রম আইন চালু থাকুক।