শুক্র. এপ্রি ১৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ২৭ মে, ২০১৭: 100ধূমপান করাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কর্নকাঠি ও চরআইচা এলাকার অর্ধশতাধিক দোকান ও বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাংচুর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় – এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে ছাত্ররা ধূমপান করার সময় স্থানীয় যুবকরা প্রতিবাদ করেন। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের উপর চড়াও হয়। এ সময় ইট পাটকেলের আঘাতে উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জনের মত আহত হয় । রাত ১০টা থেকে দুই ঘন্টাব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহা সড়ক অবরোধ করে ছাত্ররা গাড়ি ভাংচুর করে। এ ভাংচুরের দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করার সময় কিছু শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়।

ঘটনার সূত্রপাত যেখানে ঘটেছিল সেই মুদি দোকানের মালিক সেলিম হাওলাদার জানান, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি সুরুজ মোল্লার সামনে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র ধূমপান করছিল। স্থানীয় যুবক জয় এ দৃশ্য দেখে তাদেরকে অন্যস্থানে গিয়ে ধূমপান করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জয়ের উপর চড়াও হয় শিক্ষার্থীরা। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সেলিমের দোকান ভাংচুর করে ও তাকে মারধর শুরু করে। এরপরই তাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরো শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়ে সেখানে সারিবদ্ধ থাকা দোকান গুলোর উপর হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও টাকা লুট পাট করে।

এ ঘটনায় আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আলামিন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কর্নকাঠি এলাকার বখাটে রাজু দীর্ঘদিন যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্যক্ত করে আসছিল। এছাড়া ক্যাম্পাসে সে মাদক বিক্রি ও সেবন করত । এ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত তার সাথে দ্বন্দ্ব ছিল ছাত্রদের। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে আলামিনসহ ১০/১২ জন ছাত্র ভার্সিটির সামনে একটি দোকানে চা পান করছিল। এসময় স্থানীয় বখাটে জয়, বাপ্পি ও আশিক তাদেরকে দোকান থেকে চলে যেতে বলে। আলামিন জানায়, ‘আমরা দোকান থেকে চলে যেতে অপারগতা প্রকাশ করলে জয়দের ২৫/৩০ জন সহযোগী ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। পরে ভার্সিটির সামনে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিলে হলের বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা প্রতিবাদ করে। এর আগেও এদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সফিউল্লাহ মো. নাসির সাংবাদিকদের জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও স্থানীয়দের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ক্যাম্পাস ও আশে-পাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।