শুক্র. এপ্রি ১৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭: 8আমাদের দেশের সড়ক পথের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা কম বেশি সবার আছে। আর ঈদের সময় শেকড়ের টানে বাড়ি যেতে সড়কপথ, নৌপথ, ট্রেন ইত্যাদিতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে আমাদের চলতে হয়। আর রাস্তায় বিআরটিএর ৩৯ লক্ষ গাড়ি চলছে সারা বাংলাদেশে। ঈদ-যাত্রার কথা বলতে গেলে অনেকটা আতংকিত হয়ে পড়ি। কারণ, আমি যাত্রা করবো ঠিক, কিন্তু কখন গন্তব্যে পৌঁছাবো সেটা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ বলতে পারে না।
বুধবার রাতে সময় টিভির সম্পাদকীয় অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহাম্মদ মজুমদার। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক ও বাংলাদেশ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি তুষার রেহমান।
হোসেন আহাম্মদ মজুমদার আরো বলেন, ঈদে সড়ক পথে মানুষের চাপের কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আর রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে বাসসহ অন্যান্য যানবাহন ধীর গতিতে চলার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় চলে যায় সড়কে। এতে মালামাল পরিবহন ও যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছতে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। মহাসড়কের পাশে হাট-বাজার, মহাসড়ক ঘেঁষে হোটেল-রেস্তোরাঁ স্থাপন, সরু ব্রিজ, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, চার লেন সড়ক না হওয়া, ধীরগতিতে ট্রাক ও লরি চলাচল, ওভারটেকিং, সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও তা মেরামতের জন্য সড়কের এক পাশ বন্ধ রাখা ইত্যাদি যানজটের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের সড়ক পথের চারটা বিষয় যদি দৃষ্টি দেওয়া যেতো তাহলে ঈদের যাত্রাটা শুভ হতে পারতো। প্রথমত দরকার ভালো গাড়ি অথবা ভালো ড্রাইভার। একটা ভালো গাড়ি যদি হয় এবং তার জন্য একজন দক্ষ ড্রাইভার হয় তাহলে মনে হবে যে কিছুটা হলেও নিরাপদে বসতে পারি গাড়িতে। দ্বিতীয় বিষয়টা হলো, সারা দেশে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) অধীনে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং জেলা সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ২১ হাজার কিলোমিটার। যার এক চতুর্থাংশই ভাঙাচোরা। আপনি দেখবেন যে, সম্পূর্ণ রাস্তা ভালো, কিন্তু তার মধ্যে কিছুটা ভাঙা হলে সেখানে বিপুল পরিমাণ যানজট সৃষ্টি হয়। তাই এই জায়গাটুকু যদি ঈদের আগে ঠিক করা হয় তাহণে এমন যানজটের সৃষ্টি হয় না। তিন নাম্বার বিষয়টা হলো, ঈদে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক থাকতে হবে। রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানজট সৃষ্টি হলে সেখানে ভালোভাবে তৎপরতা চালাতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। তাহলে কিছুটা হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। চার নাম্বার বিষয়টা হলো, যাত্রীদের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাহলে হয়তো কিছুটা হলেও ঈদে জানজট কমবে।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া চালক ও যাত্রীদের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে হবে। নগরীতে দিন দিন যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। রয়েছে অসহনীয় যানজট। দুর্ঘটনা এড়াতে মোটরযান আইন থাকলেও তার তোয়াক্কা করছে না অনেকে। জনসাধারণের সচেতনতার অভাব, চালকদের অসতর্কতা, অবহেলা এই সব বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করতে হবে, আইন-কানুন মানতে হবে। ট্রাফিক পুলিশদের দায়িত্বশীল এবং আইন বাস্তবায়নে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারেরও এই সব ব্যাপারে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।