শুক্র. এপ্রি ১৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭: 89এক থা টাইগার’, ‘জব তক হ্যায় জান’ এবং ‘জগ্গা জাসুস’ এর মতো সিনেমায় অভিনয় দিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি ঝড় তুলেছেন বলিউড বক্স অফিসে। আর সম্প্রতি ‘চিকনি চামেলি’ এবং ‘শিলাকি কি জাওয়ানি’ খ্যাত এই অভিনেত্রী ঝড় তুললেন আইফা অ্যাওয়ার্ডের নাচের মঞ্চেও। ক্যাটরিনা ঝড়ে আইফা অ্যাওয়ার্ড যেন এখনও উত্তাল। কিন্তু সদ্য ৩৪ এ পা রাখা এই বলি দিভার সৌন্দর্যের গোপন রহস্যটা কী? কী এমন করেন এই বলি কুইন, যে তাঁর সৌন্দর্যের তাপে বাকি হিরোইনরা জ্বলে পুড়ে খাক! চলুন খোঁজ লাগানো যাক সেই গোপন হাতিয়ারের।

রোম শহরের উত্থান যেমন একদিনে হয়নি, তেমনি ক্যাথে চাবুকের মতো শরীরের পিছনে রয়েছে মারাত্মক পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই চলে ট্রেনিং। তারপর চিকিৎসকের বলে দেওয়া ডায়েট মেনে ব্রেকফাস্ট সেরেই বেরিয়ে পড়া শুটিং-এ। এই লেখাটি পড়লেই বুঝতে পারবেন এমন শরীরি ভাষার জন্ম দিতে কতটাই না কষ্ট করতে হয় তাঁকে।

প্রতিদিন নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি চলে ফাংশনাল ট্রেনিং, টি আর সি এবং কার্ডিও। তাই তো বলি, যদি বাস্তবিকই ক্যাটরিনার মতো শরীর পেতে চান, তাহলে আর ভাবনার জগতে সময় নষ্ট না করে এক্ষুনি চোখ রাখুন বাকি প্রবন্ধে এবং শুরু করে দিন শরীরচর্চা। দেখবেন আপনিও একদিন ক্যাটরিনার মতো পৌঁছে যাবেন ফিনিশিং লাইনে।

শরীরচর্চার গোপন রহস্য

১. যোগাসন: শিল্পা শেঠির মতো ক্যাটরিনাও যোগাসোন করতে খুব পছন্দ করেন। তাই তো তার শরীরচর্চার লিস্টে প্রথেমই জায়গা পায় যোগা। তারপর বাকি কিছু। ক্যাটরিনার মতো শরীর এবং ব্রেনকে চাপমুক্ত এবং ফুরপুরে রাখতে যোগাসনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

২. সাঁতার এবং সাইকেলিং: পেটের চর্বি ঝরাতে সাইকেলিং-এর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। সেই কারণেই তো প্রতিদিন সাইকেলিং করতে ভোলেন না মিস কায়েফ। সেই সঙ্গে প্রায় দিনই যোগ হয় সুইমিং।

৩. জগিং: এক্সারসাইজ শুরুর আগে ওয়ার্মআপের জন্য জগিংকেই বেছে নিয়েছেন এই বলিউড ডিভা।

৪. এক্সারসাইজ: তার শরীরচর্চার বেশিটা জুড়েই থাকে অ্যাবস সম্পর্কিত এক্সারসাইজ। সেই সঙ্গে লাইট ওয়েট ট্রেনিং মাস্ট!

ডায়েট

সকালে: ঘুম থেকে উঠেই চার গ্লাস জল পান। তারপর ফ্রেশ হয়ে শুরু হয় বাকি কাজ।

ব্রেকফাস্টে: প্রাতঃরাশে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে থাকে সিরিয়ালস, ওটমিল, বেদানার রস এবং ডিমের সাদা অংশ।

দুপুরের খাবারে: লাঞ্চে থাকে ডাল, গ্রিন স্যালাড এবং ভাত। ভাবুন আপনারা যেখানে রোগা হওয়ার চক্করে ভাতকে ডিভোর্স দিয়ে বসেছেন, সেখানে ক্যাটরিনা প্রায় প্রতিদিনই ভাত খেয়ে থাকেন। তবে অবশ্যই পরিমিত হারে।

রাতে: শুতে যাওয়ার ঠিক ২ ঘন্টা আগে রাতের খাবার শেষ করেন বলি কুইন। তাতে থাকে ভেজিটেবল স্যুপ, ডাল, সিদ্ধ সবজি, স্যালাড এবং রুটি।