শনি. এপ্রি ২০, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
1503404195
খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭: শপথ ভঙ্গ, সংবিধান লঙ্গন ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্তরে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত এক  মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান বিচারপতি তার আসনকে কলংকিত করেছেন মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারণে উপজাতীয় ও সংখ্যালঘু থেকে প্রথম প্রধান বিচারপতি হয়েছেন এস কে সিনহা।
প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনি রায়ের পর্যবেক্ষণে বর্তমান সংসদকে অপরিপক্ক বলেছেন অথচ এই সংসদই আপনার বেতন-ভাতা মঞ্জুর করেছে। আমি অনুরোধ করবো আপনার রায়ের পর্যবেক্ষণের প্রতি সম্মান রেখে এ যাবত আপনি যে বেতন ভাতা গ্রহন করেছেন সমস্ত বতেন-ভাতা ফেরত দিন।
প্রধান বিচারপতি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন জানিয়ে হাসান মাহমুদ বলেন, ২০১৪ সালে ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা চলাকালীন আপনি স্বীকার করেছিলেন ১৯৭১ সালে গ্রামেগঞ্জে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতাকারী শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। আপনি আজ পাকিস্তানের উদাহরণ টানছেন। আমাদের কাছে পাকিস্তানের উদাহরণ টেনে লাভ নেই। এটি পাকিস্তান নয়। পাকিস্তানকে তাড়িয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। আর এটি আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ জানে কেউ যদি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সেটি কিভাবে মোকাবেলা করতে হয়। দেশের মানুষ যখন স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ দিচ্ছিল তখন আপনি পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছিলেন। আপনার মতো মৌলভীবাজার কোর্টের আইনজীবীকে শেখ হাসিনাই প্রধান বিচারপতি বানিয়েছেন।
আদালত অনেক ধর্য্য ধরেছে- প্রধান বিচারপতির এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক ধৈর্য্য ধরেছে। দেশের মানুষও অনেক ধর্য্য ধরে আছে। দেশের মানুষের ধর্য্য বেশিদিন থাকবে না। আমি অতীতের উদাহরণ দিতে চাইনা। প্রধান বিচারপতির এজলাসে লাথি মারা হয়েছিলো, এখনো সেই ঘটনা ঘটেনি। সেই ঘটনা ঘটুক আমরা চাইনা। “বাংলাদেশে কামাল উদ্দিন হোসেনকে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ড. এস কে মনিমকে প্রধান বিচারপতি করার পর তিনি এক বছর এজলাসে বসতে পারেননি। এজলাসে বসতে না পারা অবস্থাতেই প্রধান বিচারপতির পদ থেকে তাকে বিদায় নিতে হয়েছে। আমরা চাই না দেশে সে ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক।