শনি. মার্চ ৩০, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪, শুক্রবার, ২৫জানুয়ারি ২০১৯, পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ বৃহস্পতিবার পিরোজপুর জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের ১৫ নেতৃবৃন্দ একটি মামলায় জেলা জজ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করেন।

পিরোজপুর জেলা যুবদলের সভাপতি মিজানুর রহমান শাহীন, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক এমডি  বদিউজ্জামান সেখ রুবেল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এমদাদুল হক মাসুদ,  জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি ইমরান আহম্মেদ সজিব,জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি খাইরুল ইসলাম বাবু, জেলা ছাত্রদল নেতা মিজান শেখ,থানা ছাত্রদল নেতা পরাগ সরদার সহ ১৫ জনের জামিন না মন্জুর করে কারাগারে প্রেরন করেন।

এ বিষয়  জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন খোলাবাজার২৪ডটকমকে  বলেন, পিরোজপুর জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল আজ কারাগারে। বৃহস্পতিবার পিরোজপুর জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের ১৫ নেতৃবৃন্দ একটি মামলায় জেলা জজ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করেন। আমাদের জেলায় এই পর্যন্ত বিএনপি ও অংঙ্গসংগঠনের প্রায় শতাধীক নেতাকর্মীদের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে সাধারন মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এর আগে ১৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার গায়েবী মামলায় পিরোজপুর জেলা জজ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানা, নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দিন তালুকদার, নেছারাবাদ পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী কামাল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিজান, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ মহিউদ্দিন, সিঃ যুগ্ম আহবায়ক সোহেল মৃধা, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আলামিন, যুগ্ম আহবায়ক হাসান শিকদার, যুগ্ম আহবায়ক তপু রায়হান, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ সোহাগ, সাধারন সম্পাদক মোঃ জুবায়ের, পৌর ছাত্রদল নেতা কাজী রাকিব সহ ২০জন নেতাকর্মী।

আলমগীর হোসেন আরো বলেন, পুলিশ বাহিনী রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।পুলিশকে দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মিথ্যা মামলা ও অন্যায়ভাবে গ্রেফতার-নির্যাতনের ঘটনার মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানটি আজ জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।

পুলিশকে অপরাধ নিয়ন্ত্রনের চেয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারে সময় ব্যয় করতে হচ্ছে, এতে করে অপরাধীরা ছাড় পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

তিনি আরো বলেন, গায়েবী মামলার বাদি ও তদন্তকারী কর্মকর্তারা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আতংকে রয়েছেন। ওই কর্মকর্তারা বুঝতে পারছেন যে তাদের দিয়ে অন্যায় ও মিথ্যা কাজ করানো হচ্ছে।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের যেভাবে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হচ্ছে এতে করে অতিতের সব রেকর্ড ভংঙ্গ করেছে সরকার। শুধু তাই নয়, যারা আইন প্রয়োগ করবেন তাদের দিয়ে অন্যায় কাজ করানো হচ্ছে।

জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন গন গ্রেফতার বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়ে নেতাকর্মীদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানান।

অন্যরকম