রবিবার (২৭ জানুয়ারি) তদন্ত কমিটি ৪৩ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দেশটির পর্যটন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে। কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে এটি প্রকাশ করা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, আগে নেপাল কর্তৃপক্ষ পাইলট আবিদ সুলতানের মানসিক হতাশার বিষয়ে যে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেছিল, চূড়ান্ত রিপোর্টে তাতে বেশি পরিবর্তন হয়নি। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে পাইলট ককপিটে যে কথা বলেছিলেন তার কিছু ডায়ালগ বাদ দেয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব বুদ্ধি সাগর লামিচেন বলেন, আগের প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে তার তেমন কোনো পরিবর্তন চূড়ান্ত প্রতিবেদনে হয়নি। শুধু পাইলটের ‘ব্যক্তিগত কিছু বিষয়’ চূড়ান্ত প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ‘আসল কারণ থেকে আমরা বিচ্যুত হয়নি’ বলেন তিনি।
প্রতিবেদনে তদন্ত কমিশন সুপারিশ করে বলেছে, সকল পাইলটের কর্মে যোগ দেওয়ার আগেই শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি মানসিক অবস্থার মূল্যায়ন করা দরকার।
এর আগেও নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পাইলট আবিদ সুলতানকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ি করেছিলো। তবে টিআইএ’র এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের ভুল নির্দেশনার কারণেই বিএস-২২১ ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়েছে দাবি করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি- টিআইএ’র টাওয়ারের পক্ষ থেকে গাফিলতি ছিল। তারা আমাদের পাইলটদেরকে ভুল বার্তা দেয়। সেকারণেই এই দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ মার্চ ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে ৪ ক্রুসহ ৭১ আরোহী নিয়ে বাংলাদেশি বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫১ জন। এর মধ্যে বিমানের পাইলটসহ ২৬ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি এবং একজন চীনা যাত্রী। আর আহত ২০ জনের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশ, ৯ জন নেপাল এবং একজন মালদ্বীপের নাগরিক।