নির্বাচনের আগে গণভবনে যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিলেন তিনি, মূলত সেসব দলকেই গণভবনে এই চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তবে এই চা-চক্র অনুষ্ঠানে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বামজোট। আমন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ধন্যবাদের পাশাপাশি এ অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়ে দিয়েছে দুই জোট। শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে চিঠি নিয়ে যান জোটের দপ্তরপ্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, সমন্বয় কমিটির সদস্য আজমেরী বেগম এবং মিডিয়াপ্রধান জাহাঙ্গীর আলম।
চিঠিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সুব্রত চৌধুরীর স্বাক্ষরে আনুষ্ঠানিকভাবে দাওয়াতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্যাডে লেখা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে- ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রের আমন্ত্রণ অন্যতম এজেন্ডা হিসেবে আলোচিত হয়। কমিটি এই চা-চক্রে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে প্রহসনের মাধ্যমে গঠিত সরকার কোনোভাবেই নৈতিক নয়। সেদিন দেশের মানুষের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষমতা হরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হাজার হাজার নেতাকর্মী এখনো জেলে। নতুন নতুন মামলায় অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে অংশগ্রহণ করা কোনোক্রমেই সম্ভব নয়।’
অন্যদিকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম আমাদের সময়কে বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রের আমন্ত্রণ পেয়েছি; কিন্তু যাচ্ছি না, যাওয়ার পরিবেশ নেই। গত ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছে তাতে মনে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এই আমন্ত্রণে যাওয়ার কোনো মানে হয় না।
তবে ১৪ দলীয় জোট, যুক্তফ্রন্ট, মহাজোটের বাইরে ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যসহ ৭৫ রাজনৈতিক দলের অধিকাংশই প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা-চক্রে অংশগ্রহণ করবে।