বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বল্পমূলধনী কোম্পানি হওয়ায় কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে কারসাজিতে সক্রিয় দুষ্ট চক্র। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জের সক্রিয়তায় কোম্পানিটির শেয়ার করসাজির সাথে সম্পৃক্তদের শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব।
জানা যায়, ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঞ্জিভূত লোকসান ৩২ কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির মূলধনের তুলনায় লোকসান ৪.২৭ গুণ।
৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর পরবর্তী লোকসান হয়েছে ৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। এসময় কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৪.০৪ টাকা। এসময় কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দায় (এনএভি) হয়েছে ৩২.৬৯ টাকা। লোকসানে থাকায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোন ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেড। রোমানিয়ান ক্রেডিটের আওতায় তৎকালীন শিল্প ব্যাংকের অর্থায়নে ওই সময় শেশিনারীজ আমদানি করে কোম্পানিটি।
রোমানিয়ান মেশিন এখন বাংলাদেশের বাজারে একবারেই চালু নেই। তাই এই মেশিনের উৎপাদিত সুতার চাহিদা ও দাম খুব কম। এ কারণে ক্রমাগত লোকসান গুনছে কোম্পানিটি। সর্বশেষ ২০০৮-০৯ সালে কোম্পানির সঞ্চিতিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে টানা লোকসানে কোম্পানিটির পুঞ্জিভূত লোকসান কোম্পানির মূলধনকে অতিক্রম করেছে।
পুঞ্জিভূত লোকসানে থাকালেও সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ব্যাপক উল্লম্ফনে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩২.৩৫ শতাংশ। সপ্তাহশেষে কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৪৫ টাকায় স্থিতি পেয়েছে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৩২.৯ টাকা। ৫ কার্যদিবসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার ১৩.৯ টাকা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার দুলামিয়া কটনের প্রারম্ভিক মূল্য ছিল ৩৭.৯০ টাকা। দিনশেষে কোম্পানিটির সমাপনী শেয়ার দর ৪৫ টাকায় স্থিতি পায়। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার ২.৬৫ শতাংশ বেড়ে ৪২.৬০ টাকায় সর্বশেষ লেনদেন হয়।