খােলাবাজার ২৪, রবিবার ,১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ঃ ক্যারিয়ারে ৬১ জন নায়িকার নায়ক হয়েছেন তিনি
ক্যারিয়ারে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন এস এম আসলাম তালুকদার যিনি চিত্রনায়ক মান্না নামেই সবার কাছে পরিচিত। আজ নায়ক মান্নার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী।
মরহুম মান্নার সহধর্মিণী শেলী মান্না জানান, এ উপলক্ষে আজ বাদ আসর উত্তরায় আমাদের বাসভবন ‘কৃতাঞ্জলী’তে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। স্মরণসভায় চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা স্মৃতিচারণ করবেন।
এছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে বাদ আসর এফডিসিতে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
১৯৮৪ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রমের মাধ্যমে চলচ্চিত্র অঙ্গনে পা রাখেন মান্না। টাঙ্গাইলের এস এম আসলাম তালুকদার নামের সেই ছেলেটি হয়তো তখনো জানতেন না যে তিনিই একদিন হয়ে উঠবেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নির্ভরযোগ্য জনপ্রিয় নায়ক। অভিনয়, সংলাপ বলার ধরন দিয়ে নিজস্ব একটা স্টাইল দাঁড় করিয়েছিলেন মান্না।
তার প্রথম আভিনীত ছবি ‘তওবা’(১৯৮৪)।মান্না প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ ছবিতে প্রথম একক নায়ক হিসেবে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এর আগে সব ছবিতে মান্না ছিলেন ২য় নায়কের ভূমিকায়। ‘কাসেম মালার প্রেম’ ছবিটি সুপার ডুপার হিট হওয়ার কারণে মান্না একের পর এক একক ছবিতে কাজ করার সুযোগ লাভ করেন।
বাংলা চলচ্চিত্রে মান্না একমাত্র নায়ক যিনি ১০০ এরও অধিক পরিচালক ও ৬১ জন নায়িকার সাথে ছবিতে অভিনয় করেন যা যে কোন অভিনেতার জন্য একটি বিরল রেকর্ড।
২০০৬ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান জনপ্রিয় এ অভিনেতা। মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারও জমা হয়েছে তার প্রাপ্তির ঝুলিতে। মানুষের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় তিনি সিক্ত হলেও, তার অনুপস্থিতি দর্শক হৃদয়ে আজও কষ্টের দাগ কেটে যায়।
তার অভিনীত এমন কিছু ছবি আছে যে কারণে তিনি চিরদিনের জন্য দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। মান্না অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে- ‘সিপাহী’, ‘যন্ত্রণা’, ‘পাগলী’, ‘ত্রাস’, ‘লাল বাদশা’, ‘আম্মাজান’, ‘আব্বাজান’, ‘রুটি’, ‘অন্ধ আইন’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘অবুঝ শিশু’, ‘মায়ের মর্যাদা’, ‘হৃদয় থেকে পাওয়া’ ইত্যাদি।