শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,শনিবার,১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ঃ  ইন্টারনেটে খোলামেলা ও অসামাজিক কথাবার্তা এবং অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে বিতর্কিত মডেল-অভিনেত্রী সানাই মাহবুব সুপ্রভাকে আটকের পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার তাকে আটকের পর ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে নিয়ে আসা হয়। ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার স্যারের নেতৃত্বে নিরাপদ ইন্টারনেট ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে সানাইকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের অফিসে এনেছিলাম। সানাই তার ভিডিওগুলোর জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছে এনং সেসব ভিডিও মুছে ফেলতে সম্মত হয়েছে।

ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,‘কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সানাই মাহবুবকে সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। এর আগে আজ সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে খানিকটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এডিসি নাজমুল ইসলাম।

তিনি ফেসবুকে লেখেন, বাংলাদেশের সাইবার স্পেইস টা নিরাপদ রাখার জন্য সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আজ থেকেই শুরু। সংবাদমাধ্যম প্রস্তুত থাকুন। বিকেলে বিশেষ সংবাদ আসছে।

সানাইয়ের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযোগ, টিকটক ও ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে খোলামেলা ও অসামাজিক কথাবার্তা বলে যুবসমাজকে অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছিলেন সানাই। তার পোস্ট ও বার্তাগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তো জানিয়ে ওই কর্মকর্তা জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় সানাইয়ের কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন ধরে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটে নজরদারিতে ছিল।

প্রসঙ্গত, সরকার যুবসমাজকে রক্ষা করতে ইতোমধ্যে দেড় হাজার পর্নো ও জুয়ার সাইট বন্ধ করেছে। নতুন প্রজন্মকে ইন্টারনেটের আপত্তিকর আসক্তি থেকে বের করে আনতে ইতিমধ্যে অশ্লীল কনটেন্ট, জুয়া বা বিপথগামী সাইট বন্ধ করে দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এর ধারাবাহিকতায় এবার দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষায় টিকটক বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, শুধু টিকটক নয় দেশীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকি রয়েছে এমন সব ধরনের সাইট আমরা বন্ধ করে দিতে চাই।

তিনি বলেন, আমি ইন্টারনেটকে নিরাপদ করতে চাই। আমার দেশ ইউরোপ না আমেরিকা না আমার দেশে বাংলাদেশ। তাই এ দেশের মানুষ, সমাজ, সাহিত্য, সংস্কৃতি সঙ্গে যায় না এমন কোনো কিছুকেই আমি রাখতে চাই না। এবার সেই অভিযানের অংশ হিসেবে সানাইকে সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।