শনি. এপ্রি ২০, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
রাজধানীর কোম্পানি ভিত্তিক বাসসেবা কতদূর?

খােলাবাজার ২৪, বুধবার ,২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ঃ  রাজধানীতে যাত্রী পরিবহনে কোম্পানিভিত্তিক বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ থমকে আছে। আট মাস আগে শুরু হওয়া প্রকল্পের অগ্রগতি বলতে আহ্বায়ক কমিটি মাত্র একবার বসে সাব-কমিটি করেছে। এরপর আর কোনো তৎপরতা নেই।

তবে, আহ্বায়ক কমিটির প্রধান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলছেন, এখন পর্যন্ত নগরীর প্রাইভেট কার ও রিকশার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা ঠিক করা সম্ভব হয়নি। সেটি হলে দ্রুতই আলোর মুখ দেখবে কোম্পানিভিত্তিক বাসসেবা।

গত বছরের ২৭ জুন রাজধানীতে সেবাদানকারী ২৬টি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনকে দায়িত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে সড়ক নিরাপত্তা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লক্কড়-ঝক্কড় বাস বন্ধের উদ্যোগ নেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে একটি কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

৯ সদস্যের ওই কমিটির প্রধান করা হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনকে। এতে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাস মালিকদের সংগঠনের নেতাদের রাখা হয়। পরে একটি সাব-কমিটিও গঠন করা হয়।

কমিটিকে ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে বাস রুট রেশনালাইজেশন ও কোম্পানির মাধ্যমে বাস পরিচালনা পদ্ধতি প্রবর্তনের বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে কর্মপরিকল্পনা করার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু, এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।

অবশ্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভাষ্য, কোম্পানিভিত্তিক বাসসেবা চালুর একটি খসড়া কাঠামো তারা চূড়ান্ত করেছে। এতে উপযোগী কিছু পুরনো বাসের সঙ্গে চার হাজার নতুন বাস সংযুক্ত করে ৬টি আলাদা কোম্পানির মাধ্যমে যাত্রীসেবার পরিকল্পনা রয়েছে।

তবে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পরিবহনের দায়িত্বে থাকা মহাব্যবস্থাপক আব্দুল লতিফ খান পরিবর্তন ডটকমকে জানান, এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কমিটির কেউ যোগাযোগ করেননি। ফলে প্রকল্পের অগ্রগতি তার জানা নেই।

তিনি আরও জানান, ঢাকা দক্ষিণের চেয়ে উত্তর সিটির আয়তন বেশি। ফলে এখানে হুট করে বললেই কোম্পানিভিত্তিক বাস চালু করা সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে কোম্পানিভিত্তিক বাস চালু-সংক্রান্ত কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘কাজটি কমিটির একার নয়। এখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার, সড়ক বিভাগ ও বাস মালিকরা জড়িত। সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটির একটি মিটিং হয়েছে। সেখানে একটি সাব-কমিটি করা হয়। তারা সড়ক বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে নীতিমালা ঠিক করছেন।’

কমিটির প্রধান ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘কমিটি গঠন করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, তাতে বাস রুট রেশনালাইজেশন বিষয়ে প্রাইভেটকার ও রিকশা নিয়ন্ত্রণে আমাকে কোনো ক্ষমতা দেয়া হয়নি। কমিটির সদস্যরা বসব। সেকানে যেসব সিদ্ধান্ত হবে, তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে অবহিত করা হবে।’