রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান বলেছেন, বিএনএস ঈশাখানে আগে থেকেই অন্য একটি কাজে প্যারা-কমান্ডোরা মোতায়েন ছিল। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬ টায় জানানোর পর তারা দ্রুততম সময়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয় এবং অত্যন্ত সফল একটা অভিযান পরিচালনার মধ্য দিয়ে মাত্র ৮ মিনিটের মধ্যে এই ছিনতাই চেষ্টার অবসান ঘটায়।
সেনাবাহিনী, র্যাব, সোয়াট সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর কম্বিং অপারেশনে মাত্র আট মিনিটেই কথিত বিমান ছিনতাইকারী আটকসহ সফল অপারেশন শেষ হয়। রাত ৭ টা ১৭ মিনিটে অপারেশন শুরু হয়ে ৭টা ২৫ মিনিটে শেষ হয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায় কমান্ডো অপারেশন পরিচালিত হয়। অভিযানে সবাইকে নিরাপদ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানের সবাই সুস্থ আছেন। যাত্রী ও ক্রুদের কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হননি।
মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, ছিনতাইকারীকে নিবৃত্ত করার জন্য প্যারা কমান্ডো বাহিনী প্রথমে তাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সে আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্বাভাবিক অ্যাকশনে যায় প্যারা কমান্ডো। গোলাগুলিতে প্রথমে সে আহত হয়। পরে সে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, তিনি বলেন, যেকোনও বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে ছিনতাইকারীর সঙ্গে কথোপকোথন করা। সেটার মধ্য দিয়ে ছিনতাইকারীকে ব্যস্ত রাখা। এ কাজটি আমাদের বিমান বাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল মফিজ অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে করেছিলেন। যা আমাদের কমান্ডো অভিযান ভালো একটা প্রেক্ষাপট তৈরি করে দিয়েছিলেন। এখানে প্যারা কমান্ডোর সঙ্গে আরও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন, নৌবাহিনীর একটি দল ও র্যাব ৭-এর সিও এবং তার দলবল।
উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারীর নাম মাহাদি বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ বিমানের নতুন উড়োজাহাজ ময়ূরপঙ্খী ১৪২ যাত্রী ও ৫ জন ক্রু নিয়ে ঢাকা থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় বিকেল সাড়ে চারটার দিকে। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায় উড়োজাহাজটি। চট্টগ্রাম হয়ে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটি বিজি-১৪৭ ফ্লাইট হিসেবে দুবাই যাচ্ছিল।