শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

পা হারানো রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দেয়ার আদেশ বহাল

খােলাবাজার ২৪,রোববার,৩১মার্চ ২০১৯ঃরাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের ওপর গ্রিনলাইন পরিবহনের চাপায় পা হারানো প্রাইভেটকারচালক রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিনলাইন পরিবহনের করা আবেদন খারিজ করে রবিবার এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।

ফলে রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকাসহ যাবতীয় খরচ দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামসুল হক রেজা ও অ্যাডভোকেট খবিরউদ্দিন ভূঁইয়া। আর গ্রিনলাইন পরিবহনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী অজিউল্লাহ।

১২ মার্চ বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ দিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি রাসেলের অন্য পায়ে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে এবং কাটাপড়া বাম পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর খরচও গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে দিতে বলা হয়েছিল আদেশে।

এর আগে ২০১৮ সালের ১৪ মে রাসেলকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রাসেলের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত বাস কর্তৃপক্ষ তার কোনো খোঁজখবর নেয়নি।

রিট আবেদনটি করেন সংরক্ষিত আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

গত বছরের ২৮ এপ্রিল মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ী দোলাইরপাড় প্রান্তে গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাসের চাপায় পা হারান এপিআর এনার্জি লিমিটেডের মাইক্রোবাসচালক রাসেল। বাসচালক কবির বেপরোয়া গতিতে পেছন দিক থেকে মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। বাসের সামনে গিয়ে কবিরের কাছে ধাক্কা দেয়ার কারণ জানতে চান রাসেল। এর জের ধরে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কবির ইচ্ছা করেই রাসেলের শরীরের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেন। দ্রুত সরার চেষ্টা করলেও এক পা বাঁচাতে পারেননি রাসেল। ঘটনাস্থল থেকে রাসেলকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ ঘটনায় গ্রিনলাইন বাসের চালক কবির মিয়াকে একমাত্র আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন রাসেলের ভাই আরিফ সরকার।

পা হারানো রাসেল সরকারের বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী এলাকার বাসিন্দা রাসেল রাজধানীর আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিংয়ে বসবাস করতেন এবং স্থানীয় একটি ‘রেন্ট-এ-কার’ প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটকার চালাতেন।