শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

৪২২০০ ট্যাব দিয়ে কী করবে ইসি?

খােলাবাজার ২৪,বৃহস্পতিবার, ০৪এপ্রিল ২০১৯ঃজাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ। পাঁচ ধাপের মধ্যে চার ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও সম্পন্ন হয়েছে। আর এ সময় ৪২ হাজার ২০০ ট্যাব কিনল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ট্যাবের সঙ্গে সাপ্লাই অ্যান্ড ইনস্টলেশন অব ট্যাব অ্যান্ড ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার নামে সার্ভার ও সফটওয়্যারও কেনা হয়েছ। এগুলো কিনতে ৪৬ কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে বলে ইসি সূ্ত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, এরমধ্যে ৪২ হাজার ২০০ ট্যাব, এর জন্য সফটওয়্যার ও সার্ভার কেনা হয়েছে।

সম্প্রতি এগুলো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহের জন্য আলাদা আলাদা তিনটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

ট্যাব সংগহের জন্য সাত সদস্যের ট্যাব রিসিভিং কমিটি, সফটওয়্যার সংগ্রহের জন্য পাঁচ সদস্যের সফটওয়্যার রিসিভিং কমিটি এবং সার্ভার সংগ্রহের জন্য সার্ভার রিসিভিং নামে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

১২ মার্চ অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক সভায় ওই সব কমিটি গঠন করা হয়।

ইসির সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ‘সাপ্লাই অ্যান্ড ইনস্টলেশন অব ট্যাব অ্যান্ড ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার’ ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচনে ট্যাবের ব্যবহারের বিষয়ে গত ৩১ জানুয়ারি কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। চুক্তি মোতাবেক কার্যাদেশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান মালামাল ও সফটওয়্যার সরবরাহ করবে।

বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ব্যবহার এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে এগুলো ব্যবহার করা হবে বলে এ বিষয়ে ইসির সিস্টেম এনালিস্ট ফারজানা আখতার স্বাক্ষরিত ১৮ মার্চের প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়।

ইসি সূত্র জানায়, ভোটকেন্দ্র থেকে সার্বক্ষণিক তথ্য ও ফলাফল সংগ্রহের জন্য তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের দশটি উপজেলায় ট্যাব ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। তৃতীয় ধাপের চারটি উপজেলায় তা ব্যবহারও করা হয়। কিন্তু ভালো ফলাফল না পাওয়ায় চতুর্থ ধাপের ছয়টি উপজেলায় ট্যাব ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।

তৃতীয় ধাপের চার উপজেলায় ট্যাবের মাধ্যমে ফলাফল সংগ্রহে জটিলতার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, সেদিন ইন্টারনেটের গতি কম থাকায় এমনটি হয়েছে।

ট্যাব কেনার বিষয়ে জানতে চাইলে এ সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি ও ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ৪২ হাজার ২০০ ট্যাব কেনা হয়েছে। তবে এখনো টাকা দেওয়া হয়নি। টেন্ডারের মাধ্যমে দেশীয় কোম্পানি থেকে কেনা হয়েছে। এগুলো চায়নার প্রডাক্ট।

এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় ট্যাবের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি করতে হলে ৬০ থেকে ৬২ হাজার ট্যাবের প্রয়োজন হবে। তথ্যগুলো সাধারণত প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাইস্কুল বা মাদ্রাসার শিক্ষকরা করে থাকেন। ‍এরা সবাইতো আইটি এক্সপার্ট না। তারপর ফরমটি পূরণ করতে হবে। এতে বাংলায়ও লিখতে হবে। এতে মোট ৪৬টি সিরিয়াল আছে। আবার কোনো কোনো সিরিয়ালে ক, খ, গ, ঘ-ও আছে।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটি তথ্য ট্যাবে সংগ্রহ করতে হবে। বাংলা টাইপ জানতে হবে। ভুল হলে কারেকশন কীভাবে করতে হয়, তা জানতে হবে। চেক করতে হবে। অর্থাৎ একটি কম্পিউটার চালানোর জ্ঞান থাকতে হবে। এসবের জন্য এতো অল্প সময়ে এতো লোককে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে না।

তাহলে যে ৪২ হাজার ২০০ ট্যাব কেনা হচ্ছে সেগুলো আপনারা কি কাজে লাগাবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ ও বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের কার্যক্রম, ভোটকেন্দ্রের রেজাল্ট, কেন্দ্রের রিপোর্ট ইত্যাদিতে কাজে লাগানো হবে।