শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

দুদকের প্রতিবেদনে তিতাসে ২২ খাতে দুর্নীতি

খােলাবাজার ২৪,বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৯ঃ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পদে পদে দুর্নীতি হচ্ছে। দেশের অন্যতম সরকারি এই সেবাকারী এই প্রতিষ্ঠানটিতে ২২ খাতে সম্ভাব্য দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে ১২ দফা সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।

দুর্নীতির উৎসগুলো হলো- অবৈধ সংযোগ, নতুন সংযোগে অনীহা এবং অবৈধ সংযোগ বৈধ না করা, অবৈধ লাইন পুনঃসংযোগ, অবৈধ সংযোগ বন্ধে আইনগত পদক্ষেপ না নেয়া, অদৃশ্য হস্তক্ষেপে অবৈধ সংযোগ, গ্যাস সংযোগে নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ না করা, বাণিজ্যিক শ্রেণির গ্রাহককে শিল্প শ্রেণির গ্রাহক হিসেবে সংযোগ প্রদান, মিটার টেম্পারিং, অনুমোদনের অতিরিক্ত বয়লার ও জেনারেটরে গ্যাস সংযোগ, মিটার বাইপাস করে সংযোগ প্রদান-সংক্রান্ত দুর্নীতি, এস্টিমেশন অপেক্ষা গ্যাস কম সরবরাহ করেও সিস্টেম লস দেখানো, ইচ্ছাকৃতভাবে ইভিসি (ইলেকট্রনিক ভলিউম কারেক্টর) না বসানো ইত্যাদি।

দুদকের দুর্নীতি-সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক টিম প্রণীত অনুসন্ধানী এবং পর্যবেক্ষণমূলক প্রতিবেদনে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান  বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর কাছে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

এ সময় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘২০১৭ সালে দুর্নীতির জনশ্রুতি রয়েছে এমন ২৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির কারণগুলো চিহ্নিত করে তা বন্ধে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করে দুদক। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি টিমের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এসব টিম অনুসন্ধান চালিয়ে দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে।’

তিনি বলেন, ‘তিতাস গ্যাস-সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক টিম তাদের অনুসন্ধানকালে তিতাস গ্যাস কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বর্তমানে কর্মরত কর্মকর্তা এবং এ বিষয়ে যারা সম্যক ধারণা রাখেন তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করে।’

প্রাতিষ্ঠানিক টিম তাদের অনুসন্ধানে পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্যসহ ভুক্তভোগী সেবা গ্রহিতাদের বক্তব্য, প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক প্রতিবেদন, নিরীক্ষা ও অডিট প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করে।

সার্বিক পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক টিম তিতাস গ্যাস কোম্পানির দুর্নীতির উৎস ও ক্ষেত্র চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে প্রণীত সুপারিশমালা প্রতিবেদন আকারে কমিশনে দাখিল করে।

কমিশনের এই প্রতিবেদন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হলে দুর্নীতি প্রতিরোধ সহজ হবে জানান মোজাম্মেল হক খান।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘দুদকের এই প্রতিবেদন গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছেন এ মন্ত্রণালয়ে তা কার্যকরভাবে অনুসরণ করা হবে।’