বৃহঃ. মার্চ ২৮, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
 

খােলাবাজার ২৪,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯ঃআগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কয়েক ধাপে এই কার্যক্রম চলবে।

ভোটার তালিকা হালনাগাদকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি নিতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর আগে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের, মসজিদে ইমামদের মাধ্যমে, নারী ভোটারদের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে আলাদা আলাদা প্রচারণামূলক কার্যক্রম চালাতে বলা হয়েছে।

তথ্য সংগ্রহকারী যাতে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে যেন তথ্য সংগ্রহ করে সে বিসয়েও কড়াকড়ি ভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শুধু একটি জায়গায় বসে যেন তথ্য সংগ্রহ করা না হয় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য নিতে হবে। তথ্য সংগ্রহকারীদেরও নজরদারিতে রাখা হবে এমন কথা বলেছেন সচিব।

ইসির তথ্য মতে, ২০০১, ২০০২, ২০০৩ ও ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি যাদের জন্ম, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া ভোটার হওয়ার বয়স হলে তাদের তালিকাভুক্ত করে নেওয়া  হবে।

ইসি সচিব আরো জানান, হালনাগাদের সময় হিজড়া পরিচয়ে ভোটার হতে পারবেন তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকরা। ভোটার নিবন্ধন ফরমে ‘লিঙ্গ পরিচয়’ অপশনে নারী, পুরুষের পাশাপাশি হিজড়া রাখা হয়েছে। হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা ভোটার তালিকা থাকবে।

এছাড়া এবার হালনাগাদে যুক্ত হওয়া নতুন ভোটাররা আগামী ৩১ জানুয়ারি তালিকাভুক্ত হবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহের সময় তাদের হাতে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।  হালনাগাদে প্রায় ৮০ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ হবে এবার। কম বয়সীরা ১৮ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তালিকাভুক্ত হবে। হালনাগাদের সময় ১০ আঙলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছাপও নিয়ে রাখা হবে।

ইসি সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কোন কোন অঞ্চলে করা হবে সেই তালিকা খুব শিঘ্রই প্রকাশ করবে ইসি। এছাড়া ইতোপূর্বে যারা ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন তারা আর নতুন করে ভোটার না হয় সেই নির্দেশনাও দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপে যেসব উপজেলা/থানার তথ্য সংগ্রহ করা হবে সেগুলো হচ্ছে-ঢাকা অঞ্চলের মানিকগঞ্জের সদর ও শিবালয়, মুন্সিগঞ্জের সদর ও গজারিয়া, নরসিংদীর মনোহরদী ও পলাশ, নারায়ণগঞ্জের সদর ও আড়াইহাজার, ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরাণীগঞ্জ, সাভার, সূত্রাপুর, কোতয়ালী ও ডেমরা এবং গাজীপুরের শ্রীপুর, কালিগঞ্জ ও কাপাসিয়া।

বরিশাল অঞ্চলের বরগুনা সদর, পটুয়াখালীর সদর ও গলাচিপা, ভোলার সদর ও মনপুরা, বরিশালের সদর, আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী, ঝালকাঠি সদর এবং পিরোজপুরের সদর ও নেছারাবাদ।

ফরিদপুর অঞ্চলের গোপালগঞ্জের সদর ও টুঙ্গিপাড়া, মাদারীপুরের কালকিনি, শরীয়তপুরের সদর ও ডামুড্যা, ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও সদরপুর এবং রাজবাড়ী সদর।

রংপুর অঞ্চলের পঞ্চগড় সদর, ঠাকুরগাঁও সদর, দিনাজপুর সদর ও নবাবগঞ্জ, নীলফামারীর সদর ও ডিমলা, লালমনিরহাট সদর, রংপুর সদর ও পীরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম সদর ও রৌমারী, গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়ি।

রাজশাহী অঞ্চলের জয়পুরহাট সদর, বগুড়া সদর, দুপচাচিয়া ও সারিয়াকান্দি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট, রাজশাহীর বোয়ালিয়া, রাজপাড়া, নাটোরের সদর ও সিংড়া, সিরাজগঞ্জের সদর ও তাড়াশ এবং পাবনার সদর ও ঈশ্বরদী।

কুমিল্লা অঞ্চলের ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সদর ও নাসিরনগর, কুমিল্লার লালমাই, ব্রাহ্মণপাড়া, বুড়িচং, লাকসাম ও হোমনা, চাঁদপুরের সদর ও হাজীগঞ্জ, ফেনীর সদর ও পরশুরাম, নোয়াখালী সদর, কোম্পানিগঞ্জ ও সেনবাগ এবং লক্ষ্মীপুরের সদর ও রামগতি।

চট্টগ্রাম অঞ্চলের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডু, মিরসরাই, কর্ণফুলী, লোহাগড়া, চন্দনাইশ ও আনোয়ারা, কক্সবাজারের সদর ও কুতুবদিয়া, খাগড়াছড়ি সদর, রাঙ্গামাটি সদর ও বান্দরবান সদর।

খুলনা অঞ্চলের মেহেরপুর সদর, কুষ্টিয়ার সদর ও দৌলতপুর, চুয়াডাঙ্গা সদর, ঝিনাইদহের সদর ও হরিণাকুণ্ডু, যশোরের সদর, অভয়নগর ও বাঘারপাড়া, মাগুরা সদর, নড়াইল সদর, বাগেরহাটের সদর ও শরণখোলা, খুলনার সদর, সোনাডাঙ্গা ও দৌলতপুর এবং সাতক্ষীরার সদর ও তালা।

ময়মনসিংহ অঞ্চলের টাঙ্গাইলের সদর, সখীপুর ও ঘাটাইল, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ, শেরপুরের শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া, ভালুকা, ঈশ্বরগঞ্জ ও গফরগাঁও, নেত্রকোনার সদর ও কলমাকান্দা এবং কিশোরগঞ্জের সদর, পাকুন্দিয়া ও তাড়াইল।

সিলেট অঞ্চলের সুনামগঞ্জের সদর ও বিশ্বম্ভরপুর, সিলেটের সদর, বালাগঞ্জ ও কানাইঘাট, মৌলভীবাজারের সদর ও শ্রীমঙ্গল এবং হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবল।