বৃহঃ. মার্চ ২৮, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,  শুক্রবার, ১৭মে ২০১৯ঃ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাওয়া  ‘বিতর্কিত’ ৯৯ জনের নামের তালিকা দিয়েছে পদবঞ্চিত এবং কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা।

তাদের দাবি, কমিটিতে ১৭ জন নয়, বরং ৯৯ জন বিতর্কিত ব্যক্তি রয়েছেন। এরা কেউ অছাত্র, মাদকব্যবসায়ী, বিবাহিত, চাকরিজীবী আবার কেউ ছাত্রদল ও শিবির থেকে আসা।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করেন তারা।

তালিকায় থাকা বিতর্কিত নেতাকর্মীদের কমিটি থেকে বাদ দিয়ে যোগ্যদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাবির কবি জসিম উদ্দিন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ খান বলেন, ‘কমিটির বিষয়ে আমরা ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়েছিলাম। তবে আমাদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ডেকে ঘোষিত কমিটি থেকে বিতর্কিতদের সরিয়ে যোগ্যদের স্থান করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।’

ছাত্রলীগের এ নেতা বলেন, ‘সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমে ১৭ জনের নাম প্রকাশ করে আমাদের আন্দোলন যে যৌক্তিক তাই প্রমাণ করেছেন। আমাকে যদি কমিটিতে না রাখা হয়, তাহলে এতে কোনো দুঃখ নেই। তবে বিতর্কিতরা যখন ছাত্রলীগে প্রবেশ করবে তখন তারা সংগঠনকে বিতর্কিত করবে।’

সাহেদ খান আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেছেন, যারা আন্দোলন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু আমরা তার কাছে বিনয়ের সঙ্গে জানতে চাই, যারা আমাদের বোনের ওপর হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে তিনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? আপনারা গতকাল রাতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রমাণ করেছেন যে, আমাদের আন্দোলন যৌক্তিক ছিল। আপনারা ১৭ জনের তালিকা গণমাধ্যমে দিতে বাধ্য হয়েছেন। আমাদের আন্দোলন যদি অযৌক্তিক হতো তাহলে আপনারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে যেতেন। কিন্তু শ্রদ্ধা না জানিয়ে আপনারা স্বীকার করেছেন যে, একটি বিতর্কিত কমিটি দিয়েছেন।’

প্রধানমন্ত্রী তাদের শেষ আশ্রয়স্থল মন্তব্য করে এই নেতা বলেন, ‘আপনার কাছে আমরা অনুরোধ জানাবো, সংস্কার করার পরে যেন কমিটিতে আর বিতর্কিত কেউ স্থান না পায়। পরে যে কমিটি পুর্নগঠন করা হবে, তা যেন বানরের রুটি ভাগ করার মতো না হয়। ছাত্রলীগের ত্যাগীরা বঞ্চিত হবে, এই মতাদর্শে আমরা বিশ্বাস করতে চাই না।’

এক বছর পর ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ কমিটি প্রত্যাখ্যান চেয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে। পরে, পদবঞ্চিতরা আন্দোলনে নামলে কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পরে ১৫ জন বিতর্কিতের নাম প্রকাশ করে সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আর বৃহস্পতিবার ১৫ জন নয়, ৯৯ জন দাগির নাম প্রকাশ করে পদবঞ্চিতরা।

তাদের দাবি, এরা মাদক ব্যবসা থেকে শুরু বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত। এমনকি হত্যা মামলার আসামিও এ কমিটিতে স্থান পাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক অনেক নেতাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন, সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশা, ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা সিকদার, তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।