খােলাবাজার ২৪,সোমবার, ২০মে ২০১৯ঃ গত কয়েকদিন হলো তার সাথে ব্রেক-আপ হয়ে গেলো।টানা কয়েক বছরের সম্পর্ক আমাদের। এই কয়েকটা দিনে তার কোনো খোজ পাইনি।এবার আমি আর খোজ নেওয়ার চেষ্টাও করিনি! আর নিবই বা কেন? তাকেতো আমার মনের কথা বলেই দিয়েছি! সেতো আমায় সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাকে অপমান করেছে!
তবুও তার কথা মনে করে রাত্রে খাওয়া-দাওয়া না করেই অবশেষে ফোনটা ভাইব্রেট মুডে রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
কয়েক বছরের সম্পর্কটা সে মুহুর্তেই চুকে দিয়েগেলো! কি দোষ ছিলো আমার? রিলেশনের আড়াই বছর পর থেকে এই গত দেড় বছরে মোট তেরো বার ব্রেক-আপ হয়েছে!
নিছক মজা করে বা অভিমানের জন্য নয়!
কিছুদিন পর পরই ও বলে–“ওর নাকি এই রিলেশনে বিরক্ত ধরে গেছে! আমি বিবাহিত! ও নাকি নিজেকে জেলখানার কয়েদি মনে করে! ও স্বাধীন ও কোনদিন বিয়েই করবেনা! তাই আমার কেয়ার তার বিরক্ত ধরার কারণ! এভাবেই চলে যায়। অত:পর কয়েকদিন পর,যখন বাকিরা অবহেলা করে, কেয়ারহীনতায় ভোগে,তখন এসে ক্ষমা চাই! ক্ষমা করে দিই! কিন্তু,এবার আর পারছি না! এভাবে কোনো সম্পর্ক টিকে থাকে না। আমি তার শুন্যতার পূরণ,মন ভাল থাকার কারণ।কিন্তু, আমার মনটা ভালো আছে কিনা.!সেটা জানার বিন্দুমাত্র আগ্রহ এখন আর তার নেই। সত্যি বলতে-আমার জীবনে কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই।
তবুও পুরনো জিনিসে হয়ত মরিচা ধরাটাই স্বাভাবিক!””
-“কিন্তু,আমি এই প্রথম এবং শেষবারের মত তোমাকে ছেড়ে যাচ্ছি। ভালবাসতে হলে একটু যত্ন করতে হয়। ভালবাসার মানুষকে না পারলেও ভালবাসাকে আগলে রাখতে হয়,নয়ত সে হারিয়ে যায়।আর যত্ন না থাকলে সেটাকে এমন পানসে মনে হয়। জেলখানারর কয়েদিই লাগে। জোর করিনি তো কখনো.!তবুও কেন এত অসস্ত্বি.!!
“”সম্পর্কে ভালবাসতে না পারলেও সেটা গ্রহন করার সামর্থ্য রাখতে হয়, নতুবা, ভালবাসা আশা করাটা স্বার্থপরতা। আর,আমার ভালবাসায় স্বার্থপরতার কোনো স্থান নেই। তোর তো ভালবাসা গ্রহণ করার মতোও সাহস বা ক্ষমতা নেই।জোর করে আর কি দেবো.!!””–
যাও সুখেরও সন্ধানে যাও।””-
উদ্দেশ্য আপাতত ঘুম। পরে যা হবার হবে।
জানি না, এ সম্পর্কে আমি অসুস্থ পাগল নাকি ?.!!
(গল্পটি কল্পনা থেকে লেখা। তবে,আমাদের বাস্তবতায় এভাবেই কিছু দীর্ঘদিনের সম্পর্কে ঘুণে ধরেছে অবহেলা,অযত্ন,আর
–“”আসলে আপনি যতক্ষণ কাউকে কেয়ার করবেন,সে ততক্ষণ আপনার কেয়ারটাকে অবহেলা করবে।আবার যখনি কেয়ার করাটা কমিয়ে দিবেন,সে কেবল তখনি আপনার শুন্যতা অনুভব করবে।এর আগে নয়!!!””-