কিছু সামগ্রী আছে, যা তৈরি করা হয় শুধু কাঁসা দিয়েই। আবার কিছু শুধু পিতল দিয়েই তৈরি হয়ে থাকে। দোকানিরা জানালেন, নকশা, উপকরণ ও ব্যবহারের ভিন্নতার জন্যই কাঁসা ও পিতলের সামগ্রী আলাদা হয়।
পিতল ও কাঁসার বাসনকোসন, হাঁড়ি-পাতিল, পানির জগ, বোল-বাটি, পট, কুপিবাতি, হুঁকা, সুরমাদানি, পানদানি, লবণদানি, বদনা, ছেনি, ট্রে, কলস, টিফিন ক্যারিয়ার ইত্যাদি। গৃহসজ্জা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ফুলদানি, উইন্ড চাইম, গ্রামোফোন, ফটোফ্রেম, দাবার ছকসহ বিভিন্ন শোপিস। বনের বাঘ, সিংহ, হাতি, ঘোড়া, হরিণ থেকে শুরু করে মাছ, ডলফিন, হাঙর, তিমিসহ বাদ্যযন্ত্রের শোপিস, বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহনের প্রতিলিপি তৈরি হয় ঘর সাজাতে।
পিতল-কাঁসার তৈরি তৈজসপত্রের যত্ন-আত্তি অন্যসব তৈজস থেকে আলাদা। শৌখিন গৃহসজ্জা সামগ্রী চকচকে পরিষ্কার রাখতে হার্ডওয়্যারের দোকানে ‘মেটাল পলিশ’ নামে এক ধরনের বোতলজাত তরল পাওয়া যায়। এই তরল পিতল-কাঁসার তৈরি পণ্যের গায়ে ভালোভাবে ব্রাশ দিয়ে লাগাতে হবে। এতে পাত্রের গায়ের রং খানিকটা কালো হয়ে যাবে। পরে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। এরপর আবার আরেকটি পরিষ্কার ও শুকনো কাপড় দিয়ে ভালোভাবে ঘষতে হবে। দাগ পড়ে গেলে তেঁতুল গোলানো পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর নরম কাপড় দিয়ে ধীরে ধীরে ঘষতে থাকুন। দাগ উঠে যাবে।
এখন ঢাকার বিভিন্ন দোকানে কাঁসার তৈজসপত্র পাওয়া গেলেও পুরান ঢাকাই আসল কাঁসার বাজার। খাঁটি কাঁসার সুনাম আছে বলেই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখান থেকে এখনো কাঁসার সামগ্রী কেনেন।