শুক্র. এপ্রি ১৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খােলাবাজার ২৪,মঙ্গলবার,০৯জুলাই,২০১৯ঃ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে বলেছেন, অযথা তাদের সমালোচনা করবেন না।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দশ দলের মধ্যে শেষ পর্যন্ত হয়েছে অষ্টম। এ নিয়েই সমর্থকদের মধ্যে রয়েছে হতাশা। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গস্নাসের ভরাট অংশের দিকেই তাকাতে বলেছেন। বাংলাদেশ দল সেমিফাইনালে যেতে না পারলেও সামগ্রিক পারফরম্যান্সে তিনি খুশি।

সোমবার গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য প্রশ্নের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গও আসে। প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট ভালোবাসেন। ক্রিকেট দলের খোঁজ নিয়মিত রাখেন বলেই এক সাংবাদিক প্রসঙ্গটা তোলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কিন্তু খেলা দেখেছি। অনেক রাত পর্যন্ত। অফিসিয়াল কাজ যেমন করেছি, খেলাও দেখেছি। হয়তো একবার দেখতে পেরেছি, একবার পারিনি। যতটুকু সময় পেয়েছি, খেলা দেখেছি। আমি তো আমাদের ছেলেদের ধন্যবাদ জানাব, তারা যথেষ্ট সাহসের পরিচয় দিয়েছে। তাদের মধ্যে আলাদা আত্মবিশ্বাস কিন্তু এসেছে। ধীরে ধীরে আরও উন্নতি হবে।’

প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, সব মিলিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ভালো করেছে, ব্যক্তিগত অর্জনের পাশাপাশি দলীয় অর্জনও আছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যে এত দূর যেতে পেরেছি, এটা অনেক বড় ব্যাপার। আমাদের কিছু খেলোয়াড়, সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান এরা বিশ্বে একটা

\হস্থান করে নিয়েছে। আমি দোষ দেব না। খেলা এমন একটা জিনিস, অনেক সময় কিন্তু ভাগ্যও লাগে। সবসময় যে সবকিছু ঠিকমতো হবে, একই রকম হবে, সেটা নয়। ক্রিকেটাররা সাহসী মনোভাব নিয়ে মোকাবিলা করতে পেরেছে, আমি এটার প্রশংসা করি।’

সেমিফাইনালে শুধু চারটি দল খেলতে পারে, এই বাস্তবতা বোঝার আহ্বান ছিল প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘এতগুলো দেশ খেলেছে। এর মধ্যে চারটা দেশ মাত্র সেমিফাইনালে উঠেছে। তাহলে কি আপনারা বলবেন বাকিরা সবাই খুব খারাপ খেলেছে? আমরা নিজেরাই নিজেদের ছোট করেন কেন? নিজেদের এত খারাপ বলি কেন? বরং আপনারা এটা বলেন, যে একেকজন জাঁদরেল জাঁদরেল খেলোয়াড়, দীর্ঘদিন যারা খেলে খেলে অভ্যস্ত, তাদের সঙ্গে মোকাবিলা করে আমাদের ছেলেরা খেলতে পেরেছে। তাদের খেলায় আত্মবিশ্বাসের কোনো অভাব তো আমি দেখি না।’

তার প্রথম সরকারের সময় বাংলাদেশ আইসিসি ট্রফি জিতেছিল, বিশ্বকাপে গিয়েছিল, সেসবও মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আরও একটা জিনিস খেয়াল করেন। আসলে খেলোয়াড় হিসেবে আসছে কারা, আপনি খেলোয়াড় পাচ্ছেন কোত্থেকে, কতজন পাচ্ছেন। প্রথম যখন সরকারে ছিলাম, আমাদের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন। তখন থেকেই আমাদের মনোযোগ ছিল, আমাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যেন বিভিন্ন খেলাধুলায় মনোযোগী হয়। সেই পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। ছোট থেকে অভ্যস্ত করে করে, অনুশীলন করে করে, তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগানো হয়েছে। তাদের তৈরি করা হয়েছে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ কিন্তু ভালো করছে। এগিয়ে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রীর ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের প্রতি আবেগটাও প্রকাশ পেয়ে যায়, ‘এখানে দোষ দেয়ার কিছু নাই। দোষ যদি দিতেই হয়, ওই চারটি দল (যারা সেমিফাইনালে গেছে) বাদ দিয়ে বাকি সব দলকেই দোষ দেন। খালি বাংলাদেশকে দোষ দেবেন না। আমি আমার ছেলেদের কখনো নিরুৎসাহিত করি না। আমি বরং ফোন করে ওদের বলি, খেল তোমরা, তোমরা ভালো খেলেছ। ৩৮১ রান তাড়া করে (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে) বাংলাদেশ ৩৩৩ রান করল। আপনারা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে আপনারা খারাপ বলবেন কীভাবে? আমার ছেলেদের কেউ খারাপ বলতে পারবেন না।’