শনি. এপ্রি ২০, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,শনিবার,১৩জুলাই,২০১৯ঃ কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় ‘ছেলে ধরা’ আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে বিপাকে পড়েছে মানসিক প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুকরা। অপরিচিত কেউ ভিক্ষা চাইতে গেলে গৃহস্থরা ভিক্ষা না দিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। বেশি গুজব ছড়িয়ে পড়েছে লাকসাম উপজেলায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামাঞ্চলের শিশু ও অভিভাবকরা।

লাকসাম পৌরশহরের উত্তর লাকসামের শিল্পী রানী পাল জানান, ‘শুনেছি পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে মানুষের মাথা লাগবে। রোহিঙ্গারা বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সুযোগ বুঝে শিশুদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে।’

লাকসাম উপজেলার চিকুনিয়া গ্রামের জালাল মিয়া বলেন, ছেলে ধরার কথা শুনে আমার স্ত্রী সন্ধ্যার সাথে সাথে দরজা-জানালা আটকে ঘরে বসে থাকেন। ভয়ে রাতের বেলায় ঘরের বাইরে বের হয় না।এদিকে, ফেইসবুকে গুজব ছড়ানোর দায়ে গত শুক্রবার ভোরে লাকসাম থেকে হায়াতুন নবী (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে কুমিল্লা র‌্যাব-১১। সে লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নের আশাগী গ্রামের উত্তরপাড়ার আবদুল খালেকের ছেলে।

অপরদিকে, ছেলে ধরা সন্দেহে আবু বক্কর ছিদ্দিক (৩২) নামে এক যুবককে শুক্রবার দুপুরে দৌলতগঞ্জ বাজারের পৌর হর্কাস মার্কেটে গণধোলাই দিয়েছে জনতা।

শনিবার লালমাই উপজেলার পেরুল থেকে এক মেয়ে শিশুকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার মুরাদনগর উপজেলায় এক যুবককে ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে।

লাকসাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ছেলে ধরার কোনো সত্যতা পাইনি। এটা সম্পূর্ণ গুজব। তবে গুজবে কান না দেয়ার জন্য শহরের সর্বত্র মাইকিং করা হয়েছে।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, যারা পদ্মা সেতু নির্মিত হোক চায় না তারা এসব গুজব ছড়াচ্ছে। ছেলে ধরার বিষয়ে আমরা সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পাইনি। এ বিষয়ে লোকজনকে আরো সচেতন হতে হবে। গুজবে যাচাই ছাড়া কাউকে হয়রানি করা ঠিক হবে না বলেও মনে করেন তিনি।