কিন্তু এক পলকেই শেষ হয়ে গেল সব স্বপ্ন। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন শান্ত। তার মৃত্যুতে চুরমার হয়ে গেল পরিবারের স্বপ্ন।
গত ১৭ জুলাই রাজধানী ঢাকার ফার্মগেটে কোরিয়ান একটি ট্রেন্টিং সেন্টারে বিদেশ যাওয়ার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন শান্ত। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎধীন অবস্থায় রবিবার (২৮ জুলাই) তিনি মারা যান।শান্ত নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলীর ছমিরনগর এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে। ওই দিন রাতেই নিহতের লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। রাত ৯ টায় গ্রামের ছমিরনগর মাদ্রাসা মাঠে জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয় তার।
মৃত্যুর আগে বাবার কাছে শান্ত শেষ বারেরর ভাত খেতে চেয়েছিলেন। ভাত খাওয়ার পর বমি করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
শান্তর বাবা জসিম উদ্দিন জানান, “আমার একমাত্র ছেলে শান্ত। হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হয়। বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ার পরও জ্বর কিছুতেই কমছিল না। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে পরীক্ষা করানোর পর ডেঙ্গু হয়েছে জানা যায়। এ নিয়ে পরিবারের সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শেষ পর্যায়ে ওকে আইসিইউ-তে রাখা হয়। রবিবার বিকালে শান্ত মারা যায়।”
তিনি জানান, “মৃত্যুর আগে শান্ত অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছিল। আইসিইউতে থাকা অবস্থায় আমাকে বলেছিল বাবা খুব ভাত খেতে ইচ্ছে করছে। ভাত খাওয়ার পরপরই বমি করতে করতে মারা যায় আমার ছেলেটি।”
এ বিষয়ে ছমিরনগর গ্রামের ইউপি সদস্য মনির হোসেন জানান, “ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় একটি কোরিয়ান ট্রেন্টিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল শান্ত। সেখানে থাকা অবস্থায় গত ১৭ জুলাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় সে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শান্ত আমাদের গ্রামের সবচেয়ে ভদ্র ও শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। তার মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।”
প্রসঙ্গত, শান্তর বাবা ঢামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম