ভ্যাটিকানের পক্ষে ড. ইউনূসের হাতে পুরস্কার তুলে দেন হোলি কনভেন্ট এবং প্যাপাল বাসিলিকা অব আসিসির মাস্টার ফাদার মওরো গামবেত্তি। ভ্যাটিকান নেতৃবৃন্দ, রোমের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর ও অধ্যাপক, ইটালির বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ী নেতা এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিপুল সংখ্যক তরুণ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শান্তি ও সংহতি প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ‘ল্যাম্প অব পিস’ পুরস্কার দিয়ে থাকে ভ্যাটিকান।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আগত দর্শকগণ। ছবি: প্রেস বিজ্ঞপ্তিপুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে ইউনূস বলেন, ‘মানবজাতির সামনে তিনটি সংকট আসন্ন। একটি-সম্পদের প্রবল ও ক্রমাগত কেন্দ্রীকরণ, দ্বিতীয়-পরিবেশের দ্রুত বিপর্যয় এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উত্থান। এই গুরুতর সংকটগুলো মোকাবেলায় এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পারলে পৃথিবীতে মানবজাতির অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে।’
১৯৮১ সালে পোলান্ডের প্রখ্যাত ট্রেড ইউনিয়ন নেতা লেস ওয়ালেসাকে প্রথম এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পোপ দ্বিতীয় জন পল, দালাই লামা, কোলকাতার সেইন্ট তেরেসা এবং রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভকেও এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কলম্বিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোসকে তাঁর নিজ দেশের গৃহযুদ্ধ বন্ধে অবদানের জন্য ২০১৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের পাশাপাশি এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সম্প্রতি আরো যে দুজনকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন-জার্মানির প্রেসিডেন্ট অ্যাঙ্গেলা মের্কেল ও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ।