ফায়ার সার্ভিস জানায়, রোববার রাত ১১টার দিকে আগুনের খবর পেয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আসেন তারা। প্রথমে চারটি ও পরে আরো আটটি ইউনিট যোগ দেয় অগ্নি নির্বাপণের কাজে। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে এর আগে, নির্বাচন কমিশন ভবনের গ্রাউন্ডে থাকা বেশ কিছু ইভিএম মেশিন ও ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সরঞ্জাম পুড়ে যায়। যদিও প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এ বিষয়ে তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে তারা।
ঢাকা বিভাগের ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্মন জানান, ‘এই গোডাউনটা খুবই কনফ্রাইন্ড। এখানে বাতাসও ঢোকার ব্যবস্থা নেই। যখন আমরা গ্লাসগুলো খুলে দেই, ওপরে ভিল্টিলেশন খুলে দেই। এরপরই আগুন নিয়ন্ত্রণে আমরা সক্ষম হই।’
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, ‘এখনই ক্ষতির পরিমাণ বলা না গেলেও নির্বাচন কমিশন পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে, তিন দিনের মাথায় প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।’
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘তদন্ত কমিটি তিনটি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন। প্রথমত এই অগ্নিকাণ্ডের উৎস কি, কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। দ্বিতীয় এর ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এরা নির্বাপণ করবেন। এবং তৃতীয়ত, ভবিষ্যৎতে এই ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমাদের কী করণীয়। সেই বিষয়ে তারা সুপারিশ করবেন।’
নির্বাচন কমিশন ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে চার হাজারের মত ইভিএমসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম ও বইয়ের গুদাম ছিলো।