শনি. এপ্রি ২০, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,রবিবার,১৩অক্টোবর,২০১৯ঃ পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ পিরোজপুর জেলায় বিএনপির চেয়াপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও মেধাবী ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদে পিরোজপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে জেলাখানা গেটের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কে ওঠার চেষ্টা করলে পুলিশ মিছিলে বাধা প্রদান করে,বাধার মুখে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

এরপরে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় আবার সম্মিলিত হয়ে বিক্ষোভ করেন।পরবর্তীতে নেতাকর্মীরা দলীয় কাদর্যলয়ে একত্রিত হয়ে কার্যলয়েই সমাবেশ করেন।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক এমপি গাজী নুরুজ্জামান বাবুল।

সমাবেশে আরোও উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, সিনিয়র সহ-সভপতি নাজিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান, সহ-সভপতি এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আকন, সহ-সভপতি এ্যালিজা জামান, সহ-সভপতি আব্দুল বাতেন কমিশনার, সহ-সভপতি এ্যাডভোকেট সাব্বির আহাম্মেদসহ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর ‍জেলা বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদল, সেচ্ছ্বাসেবক দল এবং ছাত্রদলের সভাপতি হাসান আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান শেখ রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন কুমারসহ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

বিক্ষোভ সমাবেশে অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বলেন, আমার মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থা আজ চরম অবনতি হয়েছে এবং তার জীবনহানীর শংকা রয়েছে। এই সরকার প্রতিহিংসায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, আবরার ফাহাদ ভারতের সাথে দেশ বিরোধী চুক্তির প্রতিবাদ করায় তাকে জীবন দিতে হয়েছে, আবরার  ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার ও এই দেশ বিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি জানান।

সভাপতির ব্যক্তব্যে গাজী নুরুজ্জামান বাবুল বলেন, পুলিশের পেটুয়া বাহিনী আজ আমাদের শান্তিপূর্ন মিছিলে বাধা দিয়ে আবারও প্রমান করল বর্তমানে বাংলাদেশে কোন বাক স্বাধীনতা নেই যার কারণে দেশ ‍বিরোধী চুক্তির প্রতিবাদ করায় আবরার ফাহাদকে জীবন দিতে হলো।তিনি আরোও বলেন, এই স্বৈরতান্ত্রিক সরকার ঘুম হত্যা করে আর বেশিদিন টিকতে পারবে না এবার সময় এসেছে তাদের বিদায়  নেয়ার।