শনি. এপ্রি ২০, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,মঙ্গলবার,০৫নভেম্বর,২০১৯ঃপিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি: পিরোজপুর জেলা যুবলীগের ১নং যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসানকে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী উল্লেখ্য করে থানায় সাধারণ ডায়রী (জিডি) করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। জেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি পিরোজপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জিয়া বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমি গত ২ নভেম্বর সকাল ১০টায় যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লিখে ৩টি বিস্ময় সূচক চিহ্ন সম্বলিত একটি পোষ্ট দেই। এর কারণ যুবলীগ গঠনতন্ত্রে সর্বশেষ ২০১২ সালে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে অনুমোদিত অনুচ্ছেদ ২৫ এর ধারা (ঙ) তে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ আছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কোন সদস্য একই সঙ্গে একাধিক স্তরে কর্মকর্তা অথবা মূল সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার অন্যান্য সহযোগী সংগঠন সমূহের কোন স্তরের কর্মকর্তা থাকতে পারবে না। দুইটি পদ গ্রহণকারী সদস্য ৩০ দিনের মধ্যে যে কোন একটি পদ থেকে অব্যহতি নিতে বাধ্য থাকবেন। অন্যথায় সংগঠনের পদটি আপনা আপনি বাতিল হবে। এ ধারা অনুযায়ী জিয়াউল আহসান গাজী ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার পদটি আপনা থেকেই বাতিল হয়ে যায়।
সেই সাথে আমি যুবলীগের ১নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় দায়িত্ব নিয়মতান্ত্রিক ভাবে আমার উপরেই আসে। কিন্তু আমাকে কোন দায়িত্ব পালন করতে না দিয়ে জিয়াউল আহসান গাজী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েও তার প্রভাব ও প্রতিপত্তির জোরে নিজেই জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদটিও আগলে রাখেন। তাই আমার (জিয়া) ফেসবুক আইডিতে বিস্ময় প্রকাশ করে সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) লিখে একটি পোষ্ট দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী গত ২ নভেম্বর পিরোজপুর সদর থানায় আমার ( জিয়াউল আহসান) একটি সাধারণ ডায়রী করেন। সেখানে ফেসবুকে উল্লেখিত বিষয় ছাড়াও আমার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগও করেন। যা আমার রাজনৈতিক ও পারিবারিক সম্মান বিনষ্টের সমতুল্য।
জিয়াউল আহসান সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, আমার বাবা হেমায়েত উদ্দিন মাতুব্বর একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। এ কারণে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমাদের বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। পক্ষান্তরে এই জিয়া গাজীর এক আত্মীয় মোসলেম মাওলানা মানবতা বিরোধী অপরাধে দন্ডপ্রাপ্ত আসামী দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার চার নম্বর আসামী এবং পাড়েরহাটের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে জিয়াউল আহসান গাজী জেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়নি কিম্বা অন্য কাউকে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও দেয়া হয়নি। জেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান উদ্দেশ্য প্রণীত ভাবেই নিজেকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লিখে ফেজবুকে পোষ্ট দিয়েছে। তাই একটি জিডি করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাকিম হাওলাদার বলেন, ফেসবুকের ছোট্ট বিষয়টি জিয়াউল আহসান গাজী আমাদের অবহিত করতে পারতো। থানায় সাধারণ ডায়রী করা এবং মাদকের বিষয়ে লেখাটা ঠিক হয়নি। যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসানের বাবা আজন্ম আওয়ামী লীগ করে গেছেন। জিয়াও ছাত্রবেলা থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত।