পুলিশ জানায়, কমলা মিরপুর-২-এর ২ নম্বর রোডের ৯ নম্বর বাসার চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। গৃহকর্মী সুমি আক্তার মাঝেমধ্যে ওই ফ্ল্যাটে এসে কাজ করতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ফ্ল্যাটের লোকজনের কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে দু’জনের লাশ দেখতে পায়।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, দুই রুমের ওই বাসায় কমলা একাই থাকতেন। মাঝেমধ্যে গৃহকর্মী সুমি বাসায় এসে কাজ করতেন। তাদের লাশ পড়ে থাকলেও শরীরে বড় ধরনের কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
ডিসি বলেন, নিহত কমলার বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ওই এলাকায় তার কোনো স্বজন রয়েছে কি-না তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তার এক পালিত সন্তান রয়েছে। তিনি পেশায় ট্রাকচালক। মাঝেমধ্যে তিনি ওই বাসায় আসতেন। সোমবারও এসেছিলেন; কিন্তু ঘটনার পর তার হদিস পাওয়া যায়নি। দু’জনকে হত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি।
মিরপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) দুলাল হোসেন জানান, ওই বাসার আসবাবপত্র ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় পড়ে ছিল। তবে কিছু খোয়া গেছে কি-না নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যান্য ফ্ল্যাটের গৃহকর্মীরা জানিয়েছেন, নিহত সুমি আক্তারকে তারা চিনতেন। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার বাদুরতলা এলাকায়। ওই ঠিকানার সূত্র ধরে তার স্বজনদের খবর দেওয়া হবে।
এদিকে, জোড়া লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। স্থানীয় লোকজনও সেখানে ভিড় করেন। সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটের সদস্যরা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছেন।