খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ফার্মাসিস্ট ছাড়া কোনো ওষুধের দোকান চলবে না এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। ওষুধ ব্যবহারের নিয়ম-নীতি সম্পর্কিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফরমুলারি (বিডিএনএফ)-এর চতুর্থ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন ও আদর্শ ফার্মেসির মডেল উপস্থাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। মন্ত্রী বলেন, ‘যে সব ওষুধের দোকানে ফার্মাসিস্ট রাখার যোগ্যতা নেই তাদের ওষুধের ব্যবসা করার দরকার নেই। আমি সিদ্ধান্ত নেব যে, প্রত্যেক ওষুধের দোকানে ফার্মাসিস্ট রাখতে হবে। অন্যথায় ওষুধের দোকান চলবে না। এ ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহায়তা আশা করছি।’ তিনি বলেন, ‘মুড়ি-মুড়কির মতো ওষুধের দোকান হতে পারে না। কোন এলাকায় কতটা ওষুধের দোকান থাকবে তা ভাগ করে দেওয়া হবে। মানসম্পন্ন ১০টা দোকান হলেই যথেষ্ট, ১০০টা দোকান থাকবে কেন?’ ওষুধশিল্প এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘দেশে অনেক ওষুধের দোকান লাইসেন্স ছাড়াই চলছে। এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু আপনারা কোনো প্রতিবাদ করতে পারবেন না।’ যাদের লাইসেন্স আছে তাদের লাইসেন্সও রিচেক করে যোগ্যতা না থাকলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানান তিনি। অনেক দোকান আছে যারা জেনেশুনে ভেজাল ওষুধ বিক্রি করে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অনেক নামীদামী বেসরকারি হাসপাতালে এখন নিষিদ্ধ ওষুধ পাওয়া যায়। মানুষ বোঝে না বলে দোকানদার প্যারাসিটামলের পরিবর্তে এ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দেয়। আর প্রেসক্রিপশন ছাড়াতো অহরহই ওষুধ বিক্রি হচ্ছে।’ কিন্তু এ সব অনিয়ম দেখার দায়িত্ব ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আইন করলেই হবে না, এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ওষুধ বিশ্বব্যাপী অনেক সমাদৃত কিন্তু আমার দেশেই ভেজাল ওষুধের কারণে মানুষ মারা যাচ্ছে। ওষুধ প্রশাসন ও শিল্পের মালিকরা আমাকে সহায়তা করেন। তাহলে ভেজাল ওষুধে কেউ মারা যাবে না। সরকারের পক্ষ থেকে ওষুধ উৎপাদন এবং বিক্রয়ে সুযোগ করে দেওয়া হবে। কিন্তু শিল্প মালিকদেরও আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। মুনাফার লোভে ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারী ও বিক্রেতাদের সহায়তা করা যাবে না।’ এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, ইউএসএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মালিসা জনস প্রমুখ।