Thu. Sep 18th, 2025
Advertisements

14খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১ নভেম্বর ২০১৫: ঘোষিত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে হাই কোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বাতিল করে আবারও শুনানি করার নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লিভ টু আপিরের নিষ্পত্তি করে এই আদেশ দেয়।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ২০১২ সালের ৩০ জুলাই হাই কোর্টের ওই রায়ে মামুনের সাবেক স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিনকেও খালাস দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে আরেকটি লিভ টু আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ট বন্ধু হিসাবে পরিচিত। মুদ্রা পাচারের একটি মামলায় সাত বছরের সাজা খাটছেন তিনি।
বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্র“য়ারি ৫০ ব্যক্তির সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়ে দুদক। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল করতে বলা হয়। মামুন ছিলেন তাদেরই একজন।
ওই নোটিশের জবাবে সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় ৮ মে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামুন ও তার তখনকার স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় মামুনের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩শ ৬৯ টাকা এবং শাহিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ২২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
ওইবছরের ২৪ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের আরেক সহকারী পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক।
মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মামুনকে ১০ বছর এবং তার স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিনকে ৩ বছরের দণ্ড দেয়।
মামুন ও শাহিনা ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ ২০১২ সালে তাদের খালাস দেয়।
এরপর দুদক হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে মামুনের খালাসের সেই রায় বাতিল হয়ে গেল।