Thu. Sep 18th, 2025
Advertisements

60খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫: আমাদের বাসভূমির আশেপাশে জন্মায় বলে এই বেতো শাকের আরেক নাম বাস্তক। এর গাছ হয় ছোট, গাছের পাতা অনেকটা তুলসী পাতার মতো, কিন্তু পাতাগুলোর ধার বেশ ঢেউ খেলানো। বোটানিক্যাল নাম- ঈযবহড়ঢ়ড়ফরঁস ধষনঁস খরহহ. এই গাছ সাধারণত জ্বরনাশক। লাল রংয়ের পাতাওয়ালা এক ধরনের বেতো পাওয়া যায়। চন্দন বেতো নামে আর এক ধরনের বেতো শাক পাওয়া যায়। বেতো শাক বায়ু, পিত্ত ও কফনাশক এবং অগ্নিবল বৃদ্ধিকারক। এটি ক্ষারধর্মী। এর মধ্যে কৃমিনাশক শক্তি রয়েছে।
ব্যবহার :
১. আধ পোয়া ঘোলের সংগে এক চামচ বেতোশাকের রস দিয়ে খেলে হেঁচকি বন্ধ হয়ে যাবে ।
২. আমাশয় হলে বেতো শাককে প্রথমে শুকিয়ে গুড়ো করে নিন। তারপর তার সঙ্গে অল্প দই মিশিয়ে খান ।
৩. বেতো শাক মুখে রুচি আনে। যাঁর অরুচিতে ভুগছেন তাঁরা শাক হিসেবে এটি যদি খাবার প্রথমেই খান তাহলে রুচি আসবে।
৪. পাইলস হলে বেতোশাকের রস ৩ বা ৪ চা চামচ অল্প গরম করে নিন। একে মহিষের দুধের সংগে মিশিয়ে খেলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
৫. একনাগাড়ে কিছুদিন বেতো শাক খেলে শুকনো কাশি দূর হবে।
৬. ছোট কৃমির সমস্যা দূর করতে হলে রোজ সকালে তাহালে ২ বা ৩ চা চামচ শাকের রস অল্প গরম করে খান।
৭. বেতোশাক যদি রোজ দুপুরে খান তাহালে মুত্রগ্রন্থি ও লিভারের ক্রিয়া স্বাভাবিক ও শক্তিশালী হবে।