Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

35খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫: খুব কষ্ট পেয়েছিলেন বীরেন্দর শেবাগ। প্রকাশ করেননি। ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার মাস দুয়েক পর প্রকাশ করলেন সেই কষ্ট। কষ্ট তার আচমকা ভারত দল থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার। একদম বিনা নোটিশে। কষ্ট তার ক্যারিয়ারটাকে দীর্ঘ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ায়। শেষ দিকে ওপেনিং থেকে মিডল অর্ডারে নেমে গিয়ে ব্যাট করতে চাইতেন। তার কথা শোনেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। কষ্ট আছে শেবাগের।
শেবাগ বলেছেন, ২০১৩ সালে ভারত দল থেকে বাদ পড়ার খবরটা তিনি জেনেছিলেন সংবাদপত্র থেকে। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কেউ তার সাথে যোগাযোগ করেনি। কথা বলেনি। না নির্বাচকরা, না টিম ম্যানেজমেন্ট, না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। দীর্ঘদিন ভারতের ক্রিকেটে দুরন্ত সার্ভিস দেয়ার এই পুরস্কার! কষ্ট পান শেবাগ।
সেই সময়ের কথা মনে পড়ে যায় শেবাগের। বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টে আমি রান করতে পারিনি। তাই ভেবেছিলাম, শেষ দুই টেস্টে সুযোগ পাবো। কিন্তু তারপরই বাদ পড়ে গেলাম, আর পারফর্ম করা হলো না। নির্বাচকরা আমাকে আরো দুই টেস্ট খেলে অবসর নেয়ার সুযোগ দিতে পারতেন।” মাঠ থেকে ভারতের জার্সি শরীরে অবসর নিতে না পারার কষ্ট আছে শেবাগের।
২০১৩ সালের মার্চে হায়দ্রাবাদ টেস্টের পর বাদ পড়লেন শেবাগ। আট ইনিংসে একটিও ফিফটি ছিল না তার। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছিলেন এরপর। কিন্তু জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার মতো রান করতে পারলেন না। বাদ পড়ার পর ২০টি রঞ্জি ট্রফি ম্যাচে তিনটি সেঞ্চুরিতে ৪০ এর নিচে গড়ে ১২৬৯ রান করেছেন শেবাগ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ফিরে ঘরোয়া ক্রিকেটে মানিয়ে নিতে তার সময় লেগেছে।
আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা ওপেনার ধরা হয় শেবাগকে। যার ক্ষমতা ছিল বিশ্বের সেরা বোলিং আক্রমণকেও দ্রুত গুড়িয়ে দেয়ার। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ দিকে গিয়ে ওপেনিং থেকে মিডল অর্ডারে চলে যেতে চেয়েছিলেন। ততদিনে রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলী ও ভিভিএস লক্ষ্মন খেলা ছেড়েছেন। কিন্তু মিডল অর্ডারে কখনো সুযোগ পাননি শেবাগ। কষ্ট আছে তার।
“আমি ম্যানজমেন্টকে বলেছিলাম। কিন্তু তারা মনে করেছিল, আমি ওপেনিংয়ে তখনো ভালো। তাই ওপেনিং জুটি নিয়ে তারা ঝুঁকি নিতে চাননি। আমি সেরা চেষ্টাই করেছি। কিন্তু মিডল অর্ডারে সুযোগই পেলাম না।” শেবাগ বলছিলেন, “আমার খেলা শেষ সিরিজে টেন্ডুলকার ছিলেন। কোহলি ও ধোনিও ছিল। পুজারা ৩ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছিল। টেন্ডুলকার খেলছিলেন ৪ এ, কোহলি ৫ এ। তার মানে আমাকে টেন্ডুলকারের পর ৬ নম্বরে ব্যাট করতে হতো। আপনি তো আর টেন্ডুলকারকে ৩ অথবা ৫ নম্বরে ব্যাট করার কথা বলতে পারেন না। মিডল অর্ডারে আমার ব্যাট করার সুযোগ ছিল না।”