খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৯ মার্চ ২০১৬ : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বিএনপি জামায়াতের পাশে না দাঁড়িয়ে দেশের জনগণের পাশে দাঁড়ালেই কেবল তার অস্তিত্ব রক্ষা করতে সমর্থ হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার একমাত্র দেবর আহমেদ কামালকেও ধরে রাখতে পারেন নি। তিনি (কামাল) আলাদা দল করার ঘোষণা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের এ নেতা আরো বলেন, যিনি (বেগম খালেদা জিয়া) তার দেবরকে ধরে রাখতে পারেন না তার পক্ষে দেশের জনগণকে ধরে রাখা সম্ভব নয়।
তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রমনা থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলবদর নেতা মীর কাশিম আলীর ফাঁসির রায় আপীল বিভাগে বহাল রাখায় জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তার দলের নেতা-কর্মীদের তোপের হাত থেকে বাঁচার জন্য চোরাপথে বিএনপির চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, তিনি(বেগম খালেদা জিয়া) এতিমদের টাকা আত্মসাতের মামলার আসামী আর তার পুত্র তারেক রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামী। কাউন্সিলরদের ভোটে তারা কেউই নির্বাচিত হতে পারবে না জেনেই তারা এ চোরাপথ বেছে নিয়েছেন।
ড. হাছান বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আশা করি আপনি বিএনপির এ সম্মেলনের মাধ্যমে ভারমুক্ত হবেন। আর ভারমুক্ত না হলে আপনি আবোল-তাবোল বলা ছাড়তে পারবেন না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে কথা বলার আগে আপনার নেত্রীর বক্তব্য নিয়ে কথা বলুন। কেননা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়ার ছোট বোন নয় যে তিনি কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রীর নাম ধরে তাচ্ছিল্য করবেন।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কেমন রাজনৈতিক শিষ্টাচার জানেন তা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ফোন করেছিলেন এবং আরাফাত রহমান কোকোর লাশ দেখতে গিয়েছিলেন তখন দেশের মানুষ টের পেয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য করার আগে বেগম খালেদা জিয়া এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শিষ্টাচার শেখা উচিত।
ড. হাছান মাহমুদ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল আহবানকে রাষ্ট্রদ্রোহীতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এ বিষয়ে আদালতের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত।