গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নেতা নির্বাচন করতে অতীতেও ভুল করেন নাই, এবারও ভুল করবেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বিএনপির বিগত আন্দোলন- সংগ্রামে যারা নিষ্ক্রিয় ও পলাতক ছিল, সেই সব মুসায়েদ ও চাটুকাররা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য এখন সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। এরা নেত্রীর (খালেদা জিয়া) সামনে তাদের চেহারা দেখাতে ব্যস্ত। এরা কখনও দলের বন্ধু হতে পারে না। বরং এরা দলের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এদের বিরুদ্ধে হাই অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে।
বিএনপির এ নীতিনির্ধারক বলেন, নেত্রীর সামনে এখন যারা প্রতিদিন চেহারা দেখাচ্ছেন, ধরনা দিচ্ছেন- বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে তারা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেননি। দলের জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে যারা সঠিক দায়িত্ব পালন করেছেন-করছেন, তারা নেতা-নেত্রীর সামনে গিয়ে চেহারা দেখানোর সময় পান না। গয়েশ্বর রায় বলেন, কাউন্সিল নেতা বানানোর জায়গা নয়। বর্তমান অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জাতির আশা-আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করার মঞ্চ। বিএনপির আসন্ন ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে জাতির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।
তারেক রহমানকে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে সাধারণত সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানই দলের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির চেয়ারপারসন হিসেবে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তা ছাড়া তারেক রহমানের এখন বাংলাদেশে আসারও কোনো পরিবেশ নেই। সবদিক বিবেচনা করে দলের পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে একটি সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হোক, যেটি তিনি পালন করবেন। এতে দলের নেতাকর্মীরা আরো উৎসাহিত হবেন।