Wed. Mar 19th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

34খোলা বাজার২৪,সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০১৬: হিমায়িত লরিতে করে ব্রিটেনে পাচার হওয়ার সময় এক মুসলিম আফগান শিশু এসএমএস পাঠিয়ে তার নিজের ও আরো ১৪ জনের জীবন বাঁচিয়েছে। শিশুটির নাম আহমেদ, তার বয়স ৬ থেকে ৭।
ফ্রান্সে শরণার্থীদের একটি ক্যাম্পে থাকার সময় ব্রিটিশ এক ত্রাণকর্মী তাকে যে মোবাইল ফোন দিয়েছিলেন সেটি থেকেই সাহায্য চেয়ে শিশুটি ভুল ইংরেজিতে ও বানানে এসএমএসটি পাঠায়।
সেখানে সে লিখে পাঠায়: লরির ভেতরে সে আটকরা পড়েছে এবং ভেতরে নিঃশ্বাস নেয়ার মতো অক্সিজেনও নেই।
ব্রিটিশ ওই ত্রাণকর্মী ইঙ্কা সোরেলের কাছে শিশুটি যখন এসএমএস পাঠায় তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে একটি সম্মেলনে অংশ নিচ্ছিলেন।
এসএমএস পাওয়ার পরপরই তিনি ব্রিটেনের লন্ডনে তার একজন সহকর্মী তানিয়া ফ্রিডম্যানের সাথে যোগাযোগ করেন। তানিয়া ফ্রিডম্যান তখন দেরি না করে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ ওই ফোন কোথায় আছে সেটা খুঁজে বের করে লরিটির গতিরোধ করে। এবং ভেতর থেকে সবাইকে বের করে নিয়ে আসে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার। ইঙ্কা সোরেলের সাথে আহমেদের দেখা হয়েছিলো ফ্রান্সে ক্যালে বন্দরের একটি শরণার্থী শিবিরে।
ওই শিবিরে হাজার হাজার শরণার্থী অবস্থান করছে, তারা ব্রিটেনে আসতে ইচ্ছুক। অনেকে প্রায়ই অবৈধভাবেও ব্রিটেনে প্রবেশের চেষ্টা করে। গত মাসে যখন ওই শিবিরটি পুলিশ ভেঙে দিচ্ছিলো তখন ইঙ্কা সোরেল ওই ক্যাম্পে গিয়েছিলেন। আহমেদের সাথে দেখা হওয়ার পর ক্রেডিটসহ তাকে একটি ফোনও দিয়েছিলেন তিনি। তার নিজের নম্বরও তিনি ওই ফোনে সেভ করে দিয়েছিলেন। আফগান শিশুটিকে তিনি বলেছিলেন বিপদে পড়লে তাকে ফোন করার জন্যে।
ইঙ্কা লোরেল বলেন, ‘শিশুটি আমাকে টেক্সট পাঠায় যাতে ও লিখেছে যে সে লরির পেছনে আটকা পড়েছে। চালক গাড়ি থামাচ্ছে না। এবং এর ভেতর থেকে তাদের বের হওয়ার কোনো উপায়ও নেই।’
বালকটি লিখেছে, ‘ও হবফ যবষঢ় ফধৎরাধৎ হড় ংঃড়ঢ় পধৎ হড় ড়শংরলধহ রহ ঃযব পধৎ হড় ংরমহধষ রধস রহ ঃযব পধহঃবহধৎ. ওধস হড় লড়শধহ াধষষধ.’
যার অর্থ- ‘আমার সাহায্য দরকার। ড্রাইভার থামছে না। গাড়িতে অক্সিজেন নেই। কোনো সিগন্যাল নেই। আমি একটি কন্টেইনারে। আমি কোনো মজা করছি না। সত্যি করে বলছি।’
পুলিশের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, মধ্য ইংল্যান্ডে ওই লরিটি থেকে ১৪ জনকে অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে আটক করা হয়েছে। আর আহমেদকে নেয়া হয়েছে নিরাপদ হেফাজতে। পাচারকারী সন্দেহে আটক করা হয়েছে আরো এক ব্যক্তিকে। আহমেদের সাথে ছিলো তার আরো একজন বড় ভাই, বয়স সম্ভবত ২০।