খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৬: ড্রোন শব্দটা শুনলেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে যুদ্ধের কোনো ছবি। কারণ ড্রোনের সাহায্যে বোমা হামলা বা ড্রোনের সাহায্যে শক্র শিবিরের ছবি তোলা- এসব কারণেই ড্রোনের আলোচনা হয়েছে বেশি।
যদিও ড্রোনের বেশ কিছু পজিটিভ ব্যবহারও আছে। যেমন, দুর্গম অঞ্চলের ছবি তোলা বা সেখানে সাহায্য পাঠানো, এসব কাজও কিন্তু ড্রোনের সাহায্যে করা হয়। তাই ড্রোনের পরিচিতি এবং এর ব্যবহার দিনদিন বেড়ে চলেছে।
এমনকি আমাদের ঢাকার বাইতুল মোকাররম মার্কেটের ফুটপাতেও আপনি দেখতে পাবেন ‘খেলনা ড্রোন’। তার মানে ড্রোন এখন সার্বজনীন হতে চলেছে!
একে আরো বেশি জনপ্রিয় করতে এবার মোবাইল ফোনের কেসের সঙ্গেই যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। তাতে লাভ? হ্যাঁ, লাভ তো কিছু আছেই। সেলফি যতই জনপ্রিয় হোক, একটা সময় এটা ঠিকই একঘেয়ে হয়ে যাবে। বা অনেকের কাছে এখনই একঘেয়ে হয়ে গেছে। তাই নতুন কিছু করার জন্যে এবার ড্রোন।
হ্যাঁ, পাঠক এবার মানুষ শক্র শিবিরের নয় বরং ‘বন্ধুর’ ছবি তুলবে ড্রোনের মাধম্যে। বাজ টেকনোলোজি নামের এক কোম্পানি এরই মাঝে এর ডেমো বা প্রাথমিক পণ্য তৈরি করেছে। তারা এখন এর বাণিজ্যিক বিপণনের জন্যে সহযোগী বা ইনভেস্টর খুঁজছে। যারাই এতে লগ্নি করতে রাজি হবে তাদের হাত ধরেই আসবে বিশ্বের প্রথম ড্রোন যুক্ত মোবাইল কেস।
এই কেসের সঙ্গে শুধু ড্রোনই নয়, থাকবে আরো কিছু ফিচার। যেমন এর সঙ্গে তিনটি ক্যামেরা থাকবে, যা কিনা সাধারণ মানের ক্যামেরা, ওয়াইড এঙ্গেল ক্যামেরা এবং শট এঙ্গেল ক্যামেরা। এই ক্যামেরাগুলো যুক্ত করা যাবে এই কেসের সঙ্গেই দেয়া ‘সেলফি স্টিকের’ সঙ্গে কিংবা ড্রোনের সঙ্গে। ফলে ছবি তোলার অভিজ্ঞতা হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম। এমনকি গুগল সানগ্লাসের মতো সানগ্লাসও থাকবে এর অ্যাকসেসরিজ হিসেবে।
যদিও এটি এখনো বাজারে আসেনি বা কবে নাগাদ বাজারে আসবে তার কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি, তবে খুব অচিরেই যে আসবে সেটা নিশ্চিত। কেননা বাজ টেকনোলোজি এরই মধ্যে থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্যে এর ডেমো কপি তৈরি করে ফেলেছে। যা গ্রাহকদের মাঝে ফেলেছে বিপুল সাড়া।
কিন্তু আমাদের খুশি হওয়ার কোনো মানে নেই! কারণ জানেন? বাংলাদেশে ড্রোন ব্যবহারের জন্যে অনুমতি নেই। ২০১৪ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ব্যাপারটা মনে আছে? তারা কোচিং সেশনে ড্রোন ব্যবহার করেছিল না জেনে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন এসে তাদের ড্রোন ব্যবহারে বাঁধা দেয়। যাই হোক, ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতের কাছেই তোলা থাক। আগে দেখা যাক এই প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখে কিনা?