খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৬: আদালতে মামলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে অর্থ ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ফিলিপিন্সে।
সিনেট কমিটি আশা করছে, নতুন সরকার ফিলিপিন্সের দায়িত্ব নেওয়ার আগে আগামী ৩০ জুনের মধ্যেই ‘উদ্ধারযোগ্য’ সব টাকা ফেরত দেওয়া যাবে।
ফিলিপিন্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট অ্যাকুইনো আগামী ৩০ জুন ক্ষমতা ছাড়ছেন।
দেশটির সিনেটের প্রেসিডেন্ট প্রো টেম্পোরে রাল্ফ রেক্টো এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এটা আমাদের জাতীয় সময়সীমা হওয়া উচিত। প্রেসিডেন্ট অ্যাকুইনো ব্যক্তিগত জীবনে যাওয়ার আগে আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে যাতে চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে যেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব তা সঠিক মালিকের কাছে ফেরত গেছে।”
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আটশ কোটি ডলার চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন ২০ দিনের জন্য স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে ফিলিপিন্সের একটি আদালত।
দেশটির ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিম অং এরইমধ্যে যে অর্থ দেশটির মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ কাউন্সিলকে ফেরত দিয়েছেন তার একাংশও আদালতের সম্পদ জব্দের এ আদেশের আওতায় রয়েছে বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে এসেছে।
এছাড়া ফিলিপিন্স ন্যাশনাল ব্যাংকে (পিএনবি) অংয়ের ৪ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন পেসোর অ্যাকাউন্ট, একই ব্যাংকে ক্যাসিনো অপারেটর ইস্টার্ন হাওয়াই লেইজার কোম্পানি লিমিটেডের ৫ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন পেসোর অ্যাকাউন্ট এবং রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনে (আরসিবিসি) ব্যবসায়ী উইলিয়াম গোর নামে থাকা ১৯ হাজার ৯৮৩ পেসোর অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফিলিপিন্সের মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ কাউন্সিল-এএমএলসি কিম অং, ইস্টার্ন হাওয়াই ও গোর বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করার পর সোমবার সম্পদ জব্দের এ আদেশ দেয় আদালত। আগামী ২ মে এ বিষয়ে শুনানির দিন রাখা হয়েছে।
হাতিয়ে নেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলারের একটা অংশ হাতে আসার কথা স্বীকার করেছেন কিম অং। তবে চুরি করে ওই অর্থ নেওয়ার বিষয়টি তার জানা ছিল না বলে দাবি করেছেন তিনি।