Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

47খোলা বাজার২৪ বৃহস্পতিবার, ৫ মে ২০১৬: আমার পক্ষে কথা বলবে সংখ্যাগুলোই’ নিজের পুরোনো কথাটাই নতুন করে বললেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। উয়েফা ডটকমের সঙ্গে রোনালদোর সাক্ষাৎ​কার নিচে প্রকাশ করা হল
প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া আপনার কাছে কতটা গুরুত্ববহ?
রোনালদো: চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বকালের অন্যতম শীর্ষ গোলদাতা হওয়ার ব্যাপারটি আমার জন্য দারুণ সম্মানের। স্বাভাবিকভাবেই এই অর্জনে আমি খুবই খুশি। চ্যাম্পিয়নস লিগ একটা বিশেষ কিছু, প্রতিযোগিতাটি রিয়াল মাদ্রিদের সব সময়ই খুব প্রিয়। আমি ভাগ্যবান যে আগে দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছি। আমি এ বছর আবার এটি জিততে চাই। সমর্থকেরা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়কে দারুণ কিছু মনে করে, আমার কাছেও এটি দারুণ একটা অর্জন।
প্রশ্ন: মাঠে কোন জিনিসটি আপনাকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দেয়?
রোনালদো: আমি যা ভালোবাসি সেটা করতে—মাঠে আমার দায়িত্ব খুব ভালোভাবে পালন করা। দায়িত্ব পালনের ব্যাপারটি উপভোগ করি। নিশ্চিত করি যেন সমর্থকদের উপভোগের বিষয়টিও। যতটা সম্ভব গোল করতে চেষ্টা করি—সমর্থকেরা সব সময়ই উত্তেজনাপূর্ণ খেলা উপভোগ করতে চায়। বেশি বেশি গোল দেখতে চায়। আমি চাই জিততে, ভালো খেলে জিততে। দলকে সাহায্য করতে চাই সবটা দিয়ে। পুরো দল যেন খেলাটা উপভোগ করে। আমি এই ‘উপভোগ’ কথাটা বিশেষভাবে বলতে চাই। কারণ এটা ফুটবল, আনন্দময় একটা ব্যাপার।
প্রশ্ন: আপনি কাকে আদর্শ মেনে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন?
রোনালদো: সত্যি কথা বলতে কি, আমি তেমন কাউকে আদর্শ মেনে নিজেকে গড়ে তুলিনি। যদিও স্পোর্টিংয়ে (পর্তুগালে রোনালদোর প্রথম ক্লাব) দুর্দান্ত সব খেলোয়াড়েরা খেলেছেন। আমি তেমন কাউকে সামনে রেখে নিজেকে গড়িনি। কোনো নির্দিষ্ট তারকার মতোও হতে চাইনি। আমি সব সময়ই একটু অন্যরকম করে ভেবেছি। অন্য কিছু হতে চেয়েছি। আমি ওই সময়ই পর্তুগাল জাতীয় দলের কথা ভেবেছি। আমি মনে করতাম বড় কোনো ক্লাবের হয়ে ভালো খেলাটা কঠিন, যেভাবেই হোক আমি ওঠা করতে পারব। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে খেলাটা আরও অনেক বেশি কঠিন। সবকিছুই খুব তাড়াতাড়ি ঘটে গেল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সই করার বেশ পরে আমি জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাই। তখন পর্তুগাল দলে খেলেন ফার্নান্দো কুতো, রুই কস্তা, লুইস ফিগোদের মতো তারকারা। জাতীয় দলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আমার সামনে উদাহরণ হয়ে গেলেন তাঁরাই।
প্রশ্ন: তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে তখন কি ভেবেছিলেন একদিন এত কিছু অর্জন করবেন?
রোনালদো: স্পোর্টিংয়ে যখন ছিলাম, তখন থেকেই নিজেকে বিশেষ একজন খেলোয়াড়ই মনে করতাম। আমি জানতাম, আজ হোক কাল হোক আমি খুব শিগগিরই সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন পেশাদারে পরিণত হব। তবে এটা ঠিক যে সবকিছু এত তাড়াতাড়ি ঘটে যাবে, সেটা ভাবিনি। তবে যেহেতু আমার প্রতিভা ছিল, তাই এ বিষয়ে আমার এক ধরনের মানসিক প্রস্তুতি ছিলই। প্রচণ্ড পরিশ্রম করতাম, নিজের প্রতিভায় আস্থা রেখেছিলাম। একাডেমি, স্পোর্টিং, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবা রিয়াল মাদ্রিদ—সব জায়গাতেই আমি আমার প্রতিভাকে আস্থায় রেখেছি। আমি ক্রমান্বয়ে নিজেকে একজন ভালো খেলোয়াড় ও একজন ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলেছি। আমি সব সময়ই আমার দায়িত্ব, আমার খেলাটাকে উপভোগ করেছি।
প্রশ্ন : আজ থেকে ২০-৩০ বছর পরের সময়টার কথা যদি ভাবেন, ইতিহাস ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে কীভাবে মনে রাখবে?
রোনালদো: আমি যে ফুটবল ইতিহাসে জায়গা পেতে যাচ্ছি—এটা নিয়ে আমার মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। মানুষ পছন্দ করুক আর না-ইবা করুক, আমার পক্ষে কথা বলবে আমার পরিসংখ্যানই। আমি ইতিহাসে অন্যসব গ্রেটদের কাতারেই থাকব। অনেকেই একমত হবেন, অনেকেই হবেন না, আমি কিন্তু এরই মধ্যে ফুটবল ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছি।