খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০১৬: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামালপুরের তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বা গুলি করে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ রায় দেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী।
রায় ঘোষণার আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ২৮৯ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও অন্য পাঁচ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন—আশরাফ হোসেন, আবদুল হান্নান ও মো. আবদুল বারী। এ তিনজনই পলাতক।
আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন—শামসুল হক, এস এম ইউসুফ আলী, অধ্যাপক শরীফ আহমেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো. হারুন ও মো. আবুল কাসেম।
ট্রাইব্যুনালের এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মিজানুর রহমান, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট এন এইচ তামিম। পলাতক ছয়জনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবদুস সুবহান তরফদার।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ জানান, মামলার আট আসামির মধ্যে অ্যাডভোকেট শামসুল হক ও এস এম ইউসুফ আলীকে আজ সকাল ৯টার দিকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় হাজির করা হয়। পলাতক রয়েছেন ছয়জন। তাঁরা হলেন—আলবদর বাহিনীর উদ্যোক্তা মো. আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক শরীফ আহমেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো. আবদুল হান্নান, মো. আবদুল বারী, মো. হারুন ও মো. আবুল কাসেম। আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও গুমের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর এই আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে একই বছরের ২৯ এপ্রিল এই আট আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ২২ জুলাই জামালপুরের পলাতক ছয়জনকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১৯ এপ্রিল এই আট আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পাঁচটি ঘটনায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।
গত বছরের ২৪ মার্চ রাজধানীর ধানমণ্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আট রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।