খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০১৬: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে সরকারি কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের অভিযোগ ওঠার পর হিলারি ক্লিনটন ৩০ হাজার ই-মেইল তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেননি।
হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সেগুলো প্রকাশ করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর বিবিসির।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিপক্ষ প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল হ্যাক করতে রাশিয়াকে উৎসাহ যোগাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে ডেমোক্রেটরা।
কয়েকদিন আগে ডেমোক্রেট দলীয় আরেক প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্সের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া সংক্রান্ত কিছু ই-মেইল ফাঁস হবার পর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মন্তব্য করেছিলেন, এর পেছনে রাশিয়ার হাত থাকতে পারে। এরপরই এই বিতর্কের সূত্রপাত।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ‘রাশিয়া, যদি তুমি এ বক্তব্য শুনে থাকো, আমি আশা করি হারিয়ে যাওয়া সেই ৩০ হাজার ই-মেইল তুমি খুঁজে বের করতে পারবে। আমার ধারণা এজন্য আমার দেশের গণমাধ্যম একদিন তোমাদের ধন্যবাদ দেবে।’
নিজের বক্তব্যের জন্য আলোচিত-সমালোচিত ট্রাম্প স্বভাবসুলভ হালকা মেজাজেই ওই বক্তব্য রেখেছিলেন। কিন্তু এখন সেটিই হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়াইরত দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রধান বিতর্ক।
যদিও ওই বক্তৃতার পরই নিজের টুইটারে ট্রাম্প লিখেছিলেন, যদি কেউ হারানো মেইলগুলো খুঁজে পায়, তাহলে সেগুলো এফবি আই’র কাছে তুলে দেয়া উচিত হবে।
কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। এখন অভিযোগ দাঁড়িয়েছে, ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির ই-মেইল হ্যাকিংয়ের জন্য রাশিয়া দায়ী এবং তা করতেও উৎসাহ যুগিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যদিও রাশিয়া এবং ট্রাম্প উভয়েই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ট্রাম্প বলছেন, ‘এটি ছিল একটি দূর কল্পনা। এটা এতো হাস্যকর। কিন্তু রাশিয়ার আমাদের দেশের জন্য কোনো সম্মান নেই। তারা এটা করতে পারে, কিংবা হয়তো চীন করেছে বা নিজের বিছানায় শুয়ে অন্য কেউ। কিন্তু এটা দেখিয়ে দিচ্ছে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কত দুর্বল।’
রাশিয়া এই ই-মেইল হ্যাকের সঙ্গে জড়িত ছিল এমন সম্ভাবনা বুধবার রাতে নাকচ করে দেন ট্রাম্প।
তবে ডেমোক্রেটিকরা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মত একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বিদেশী শক্তিকে নিজের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নজরদারি করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ডেমোক্রেটিক দলের কনভেনশন এখনও শেষ হয়নি। আজ সেখানে ভাষণ দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।