খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০১৬: : মুন্সীগঞ্জ আদর্শ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জামাত নেতা মাহাবুবুর রহমান পর্ণগ্রাফী তৈরীর প্রতিবাদকারী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অধ্যক্ষের সকল অপকর্ম ঢাকতে এখন আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের বাড়িতে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও তার সহযোগি প্রভাষক খাওয়াত হোসাইন। ভিডিও পর্ণ তৈরী, সমকামিতা ও নানা দুর্নীতির প্রতিবাদে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যখন সোচ্ছার তখন অধ্যক্ষ ক্লাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মুরগীর একটি এনিমেশন ভিডিও দেখিয়ে বিষয়টি মিথ্যা বলে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন যে, সকল শিক্ষার্থীরা মানব বন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর ডকুমেন্ট প্রদান করেছেন তাদেরকে তিনি নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছেন। এমনই একজন ইব্রাহীম মাদবর। ইব্রাহীম মাদবর জানিয়েছেন মাদ্রাসার বিষয়ে সুপার ও প্রাভাষক সাখাওয়াত হোসেন আমার বাবা মাকে এ সব ব্যাপারে না আগানোর জন্য শাশিয়েছেন। এমন অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন। কাউকে মোবাইলের মাধ্যমেও হুমকি প্রদান করা হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এক ছাত্র রফিকুল ইসলামের বাড়িতে গিয়েও এই দুইজন শাষিয়ে এসেছেন এমন খবর পাওয়া গেছে।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষ ছাত্রদের মিথ্যা কথা শিখাচ্ছেন। সে কুরআন হাদিস দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করছেন যে মিথ্যা অপবাদ দেয়া গুনাহের কাজ এবং ভিডিওটি কেউ দেখে না থাকলে দেখতে নিষেধ করেছেন। এটি ষড়যন্ত্র করে কেউ তৈরী করে দেখাচ্ছে। এ সকল ভূমিকার ফলে কোমলমতি সকল শিক্ষার্থী ভিডিওটি ইন্টারনেটে দেখার জন্য উদ্ধুদ্ধ হবেন এমনটি আশংকা করছেন একাধিক গার্ডিয়ান। মুন্সীগঞ্জ আদর্শ ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় নতুন পরিমলের আইনী কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। নতুন পরিমল অধ্যক্ষের ভাগিনা সাকিব কামাল ও তার মামা মাহবুবুর রহমানকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছে মাদ্রসার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকগণ ও এলাকাবাসী।অপরদিকে মাদ্রাসাটি জামায়াত নিয়ন্ত্রীত হওয়ার পরও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন মুন্সীগঞ্জ। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমানের দুর্নীতি ও সমকামিতার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বার বার প্রকাশিত হওয়ার পরও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে চলেছেনা।এমন একটি ঘটনা ঘটার পর অভিযুক্ত অধ্যক্ষ রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
এ ব্যাপরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সাথে ফেনালাপকালে তিনি ছাত্র- ছাত্রীদের হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।