খোলা বাজার২৪, বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০১৬: ২০০৪ সালে বন্যায় বিধ্বস্ত হওয়া টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের বাগবাড়ী বক্সকালভার্টটি নির্মাণ হয়নি আজও। ব্যস্ততম এই সড়কটি দিয়ে যানহাবন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জোড়াতালি দিয়ে নির্মিত বেইলী ব্রীজটির অবস্থাও জড়াজির্ন। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা।
জানাযায়, ২০০৪ সালের বন্যায় যমুনার পানি বাগবাড়ি বাঁধ ভেঙ্গে ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের এ বক্সকালভার্টটি বিধ্বস্ত হয়। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এ সড়কের আরো দুটি বক্স কালভার্ট। সে দুটি পরবর্তীতে মেরামত করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হলেও বিধ্বস্ত বাগবাড়ী বক্স কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়নি দীর্ঘ ১৪ বছরেও। সাময়িক চলাচলের জন্য বাইপাস করে একটি বেইলী ব্রিজ স্থাপন করা হলেও তার অনেক স্লাব (পাটাতন) ফুটো হয়ে ভেঙে গেছে। ধফায় ধফায় জোরাতালি দিয়ে কোন রকমে যান চলাচল করলেও এতে যে কোন সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। এই গুরুত্বপূন্ন সড়কটিতে প্রতিদিন জামালপুরের তারাকান্দী যমুনা সার কারখানা থেকে উত্তরবঙ্গগামী সারবাহী ট্রাক, দেশের অন্যতম বৃহৎ গোবিন্দাসী গরুর হাটের গরুবাহী শত শত ট্রাকসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করছে আতংকের মধ্যে ।
বক্সকালভার্টটি দ্রুত নির্মাণে জন্য ভূঞাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় জন প্রতিনিধিরাসহ সর্বস্তরের এলাকাবাসী দাবি জানালেও তা কোন কাজে আসেনি। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিধ্বস্ত বক্সকালভার্টটি দ্রুত নির্মাণের জন্য জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বেশ কয়েকবার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ করা হলেও বক্স কালভার্টটি নির্মাণে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’
উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানায়, বিধবস্ত বাগবাড়ী বক্সকালভাটটিসহ ভূঞাপুর-টাঙ্গাইল সড়কে আরো ৮টি ব্রীজ ও ২টি কালভাটের একাধীকবার ইস্টিমেট পাঠানো হয়েছে । আশা করছি স¤প্রতি প্রকল্পগুলোর কাজ করা হবে।
এ বিষয়ে গোবিন্দাসীতে কাঠ ব্যবসায়ী রমজান আলী জানান, এই ভাঙ্গা ব্রিজের উপর অসংখ্য দূর্ঘটনা ঘটছে, দেখার কেউ নেই। কাগজে কলমে দেশের উন্নয়নের শেষ নেই, তার প্রমান এই বক্সকালভার্ট, এতদিন নেতাকর্মীদের কোন খোজ-খবর না থাকলেও এখন হয়তো দেখা মিলতে পারে কারণ সামনে নির্বাচন।