Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

download (13)

 খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০১৬: ২৭ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হবে বিশ্ব পর্যটন দিবস। বিশ্বের ভ্রমণ পিপাসু মানুষের মাঝে পর্যটনকে আরও জনপ্রিয় করতেই ১৯৮০ সাল থেকে এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বের সামগ্রিক জিডিপির ৯ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে।

সমপ্রতি বিশ্ব পর্যটন দিবসকে সামনে রেখে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ২০টি পর্যটন কেন্দ্রের বিবরণ তুলে ধরেছে। আপনার যদি হাতে সময় থাকে আর মনে থাকে ভ্রমণের আকাঙ্খা, তবে আর দেরি কেন? এখনই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন আরেকটি নতুন অজানা শহর আবিষ্কার করতে!

১.   কক্সবাজার, বাংলাদেশ

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কঙবাজার বাংলাদেশে অবস্থিত। সমুদ্র সৈকতে নিরিবিল অবসর সময় কাটানো আর আশেপাশের পার্বত্য এলাকাগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য কঙবাজার একটি আদর্শ শহর। একেবারে কাছের দুটি দ্বীপ মহেষখালী ও সোনাদিয়া ঘুরে আসতে ভুলবেন না যেনো!

২.   মানজানিলো, মেক্সিকো

প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপটি পৃথিবীর তাবৎ সৌখিন মাছ শিকারীদের কাছে খুব পছন্দের। সৌখিন মাছ শিকারীরা সুযোগ পেলে একবার মানজানিলো ভ্রমণ করার ইচ্ছে রাখেন।

৩.   পেত্রা, জর্ডান

বলা হয় পেত্রার প্রাচীন নগরী এমন একটি স্থান যেখানে জীবনে একবারের জন্য হলেও অবশ্যই ভ্রমণ করতে হবে। সেখানকার গোলাপী পাথর নিশ্চিতভাবে আপনাকে সেই প্রাচীন সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।

৪.   বারানকিলা, কলম্বিয়া

কলম্বিয়া ভ্রমণে গেলে ক্যরিবিয়ান সাগরের কাছাকাছি অবস্থিত এই শহর একটি চমৎকার পর্যটন কেন্দ্র যেখানে ভ্রমণ করা যায়। এখানকার সিটি কার্নিভাল খুব জনপ্রিয়।

৫.   মদিনা, সৌদি আরবগবফরহধ – ঝধঁফর অৎধনরধ – ঋষরপশৎ – ঋৎধু ওংসধঃ

সৌদি আরবের পশ্চিমে অবস্থিত মদিনা নগরী মুসলমানদের কাছে পবিত্র স্থান। এই শহরে ছড়িয়ে আছে মুসলিম সভ্যতার প্রাচীন নিদর্শন।

৬.   বোগো সিটি, ফিলিপাইন

ফিলিপাইন এর সেবু প্রদেশের এই শহরটি ভ্রমণের উত্তম সময় হচ্ছে এপ্রিল এবং মে মাস। এই সময় এখানে সেইন্ট ভিনসেন্ট ফেরার উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

৭.   কোয়েটা, পাকিস্তান

এই শহরটি পাকিস্তানের ফলের শহর হিসেবে বিখ্যাত। শহরের প্রতিটি ফলের বাগান ঘুরে দেখতে ভুলবেন না যেনো!

৮.   ফ্লোরস, ইন্দোনেশিয়া

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের কাছে ফ্লোরস একটি চমৎকার গন্তব্য। এই দ্বীপে রয়েছে কেলিমুটু আগ্নেয়গিরি যার আশেপাশে রয়েছে তিনটি আগ্নেয়গিরি। দ্বীপের উত্তর দিকে উপকুল স্নরকেল সাতার আর ডাইভারদের জন্য এ টুকরো স্বর্গ।

৯.   কাকামেগা বন, কেনিয়া

কেনিয়ার একমাত্র ক্রান্তীয় বনভূমি হচ্ছে কাকামেগা। এখানে ৩৬০ প্রজাতির পাখি রয়েছে যার মধ্যে নয়টি পৃথিবীর কোথাও আর পাওয়া যাবে না।

১০. কেপ কোস্ট, ঘানা

ঘানার এই বন্দর নগর অবসর যাপনের জন্য একটি চমৎকার জায়গা। গ্রীষ্মের সময় স্পট ফিশিংএর জন্য পর্যটকদের কাছে এই এলাকা খুব প্রিয়।

১১.  লাগোস, নাইজেরিয়া

নাইজেরিয়ার লাগোস আফ্রিকার বৃহত্তম শহর। এই শহরটি শুধু ব্যবসার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, অসংখ্য নদনদী ও খাল থাকায় অবসরযাপনকারীরাও এই শহরটি পছন্দ করেন।

১২. আবিদজান, আইভরি কোস্ট
ফরাসী ভাষা ভাষীর উৎসাহী মানুষজন আবিদজানে একবার যাবার চেষ্টা করবেন। এই শহরটি পশ্চিম আফ্রিকার সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

১৩. মার্চিসন ফল্‌স ন্যাশনাল পার্ক, উগান্ডা

উত্তর পশ্চিম উগান্ডার এই শহরটির নামকরণ করা হয়েছে যে জলপ্রপাতটির নামে, তা তো আছেই, প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আরও রয়েছে জঙ্গলে হরেক রকমের পশুপাখি দেখার সুযোগ।

১৪. ক্যন্ডি, শ্রীলঙ্কা

দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ক্যান্ডি। এই শহরে বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন পবিত্র স্থান যার মধ্যে অন্যতম ‘দি টেম্পল অব টুথ’।

১৫. মান্দালয়, মিয়ানমার

ইয়াঙ্গনের উত্তরে অবস্থিত মান্দালয় ইরাওয়াদ্দি নদীর তীরে অবস্থিত। অবকাশ যাপন এবং সংস্কৃতি চর্চার এমন একটি স্থান এশিয়া ভ্রমণকারী কারোরই বাদ দেওয়া উচিৎ হবে না।

১৬. এসাউরিয়া, মরক্কো

মরক্কোর অন্যান্য ব্যস্ততম নগরীগুলোর কোলাহল থেকে বাইরে নীলাভ এই উপকুলীয় শহর সৌন্দর্য্য ও ঐতিহাসিক স্থাপনার কারণে পর্যটকদের কাছে খুব পছন্দের।

১৭.  সৌসি, তিউনিসিয়াগধহফধষধু – গুধহসধৎ – ওহমওসধমব

ঐতিহ্যবাহী খাবার ও পোষাকের জন্য তিউনিসিয়া সৌসি শহর পর্যটকদের আকর্ষণ করে থাকে।

১৮. মাউন্ট মেরু, তানজানিয়া

বিশ্ববিখ্যাত মাউন্ট কিলিমানজারোর ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মাউন্ট মেরু একটি সক্রীয় আগ্নেয়গিরি। প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের কাছে মাউন্ট মেরুর আশেপাশের জঙ্গল এবং এর জীববৈচিত্র খুব উপভোগ্য। এই জঙ্গলগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখী, বানর ও চিতা বাঘ।

১৯. লেক ওকু, ক্যামেরুন

বামেন্ডা প্লাটোতে অবস্থিত এই হ্রদ একটি বিস্ফোরণের কারণে সৃষ্ট। এই এলাকার হ্রদ এবং আশেপাশের জঙ্গলের জীববৈচিত্রের অনেকটাই এখনো অনাবিষ্কৃত।

২০. ভিক্টোরিয়া ফলস, জাম্বিয়া

পৃথিবীর প্রাকৃতিক সৌন্দযের্র অন্যতম আকর্ষণ ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। এই জলপ্রপাত ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে অবশ্য ভ্রমণীয় তালিকার শীর্ষস্থান দখল করে।