Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

[highlight]বড় ডিপযুক্ত ফ্রিজে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি[/highlight]

walton-2খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০১৬: দেশে ঈদুল আযহা বা কোরবানীর ঈদকে ধরা হয় ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম। আর তাই এবারের কোরবানীর ঈদে বিপুল পরিমান ফ্রিজ বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছে ওয়ালটন। ঈদ সামনে রেখে তাদের টার্গেট সাড়ে চার লাখ ফ্রিজ বিক্রির। কর্তৃপক্ষের মতে, ওয়ালটন ফ্রিজের প্রতি ভোক্তাদের আস্থা অনেক বেড়েছ। বিশেষ করে উচ্চ গুনগত মান এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে ওয়ালটন ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি দিন দিন বাড়ছে।

কিছুদিন পরই মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল-উল-আযহা। কোরবানীর মাংস সংরক্ষণের জন্য এই সময় ফ্রিজ কেনার ধূম পড়ে যায়। সাধারনত বড় ডিপযুক্ত ফ্রিজের বিক্রি বাড়ে। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ডিপফ্রিজ। বাড়তি চাহিদা মেটাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সাড়ে চার লাখ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য কারখানায় উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। প্লাজা ও পরিবেশকদের কাছে ওয়ালটন পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে ফ্রিজের পর্যাপ্ত মজুদ।

জানা গেছে, প্রতিবছরই ঈদুল আযহায় সারাদেশে ফ্রিজের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। বাড়তি চাহিদা পূরণে হিমশিম খেতে হয় ব্যবসায়ীদের। ধারণা করা হচ্ছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার এই চাহিদা আরো বাড়বে। এর পেছনে যুক্তি হচ্ছে- মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অস্বাভাবিক ভ্যাপসা গরম।
ওয়ালটন সূত্রমতে, এমনিতেই দেশব্যাপী তাদের বিশাল চাহিদা রয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে নিজস্ব কারখানায় বিশ্বমানের ফ্রিজ উৎপাদন করে সাশ্রয়ী মূল্যে তা ক্রেতাদের নিকট পৌঁছে দেয়ায় গ্রাহকচাহিদার শীর্ষে ওয়ালটন।

জানা গেছে, রোজার ঈদের পরপরই ওয়ালটন কারখানায় ফ্রিজের উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে ছয় থেকে সাত হাজার ফ্রিজ। প্লাজা ও পরিবেশকদের কাছে কারখানা থেকে ২৪ ঘন্টা ফ্রিজ ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে। সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত যানবাহন। কারখানায় গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় দেড় লাখ ফ্রিজের মজুদ। যাতে আকস্মিক চাহিদা বৃদ্ধিতেও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যায়।

ঈদে বিপুল পরিমান ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যুক্তি দেখাচ্ছে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির। গত বছরের প্রথম সাত মাসের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ৬১ শতাংশ ফ্রিজ বেশি বিক্রি হয়েছে ওয়ালটনের। আবার গত বছরের শুধু জুলাই মাসের তুলনায় এবছর জুলাই মাসে বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৮৯ শতাংশ।

ওয়ালটন কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা, এবার রেকর্ড পরিমান ডিপ ফ্রিজ বিক্রি করবেন তারা। পাশাপাশি বড় ডিপযুক্ত ফ্রিজগুলোও থাকবে ক্রেতা চাহিদার শীর্ষে। ইন্টিলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসার সংযোজনের ফলে এরইমধ্যে বিক্রি বেড়েছে নো ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটরের। বিশেষ করে ওয়ালটনের ৪৩০ লিটার, ৩৬৫ লিটার, ৩৪৮ লিটার, ৩২০ লিটার, ২৬৫ লিটার, ২৪৪ লিটার, ২৯৫ লিটার ও ২৫৪ লিটার ধারণক্ষমতার ফ্রিজগুলোর চাহিদা বেশি। তিন দরজা বিশিষ্ট ৫২৬ লিটারের ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির নন-ফ্রস্ট ফ্রিজটি মন কেড়েছে সৌখিন ক্রেতাদের।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (প্লাজা সেলস ও ডেভলপমেন্ট) এবং বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রেজওয়ানা বলেন, বিগত বছরগুলোতে কোরবানি ঈদের আগে ফ্রিজের ব্যাপক চাহিদা দেখা যায়। সেজন্য আমরা রোজার পরপরই উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণন পরিকল্পনা তৈরি করেছি। আশা করছি, ঈদকে ঘিরে অভ্যন্তরীণ বাজারে ফ্রিজের যে বাড়তি চাহিদা তৈরি হবে তার সিংহভাগ ওয়ালটন মেটাতে সক্ষম হবে।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার বলেন, ওয়ালটনের প্রতি ভোক্তাদের আস্থা বেড়েছে। নির্ভরতা বেড়েছে। তাদের বিশ্বাস জন্মেছে যে, আমদানি করা ফ্রিজের তুলনায় দেশে তৈরি ওয়ালটন অনেক উচ্চমানের, দামেও সাশ্রয়ী। ধারণা করা হচ্ছে সামনের দিনগুলোতে ওয়ালটন ফ্রিজের চাহিদা আরো বাড়বে।

উল্লেখ্য, উৎপাদনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, মান নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স, অসংখ্য ডিজাইন ও বৈচিত্র্যময় কালার, সাশ্রয়ী মূল্য, ছয় মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, ইনভার্টার কম্প্রেসারে ১০ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা, দেশব্যাপী বিস্তৃত আইএসও সনদপ্রাপ্ত সেলস ও সার্ভিস নেটওয়ার্ক এবং সর্বোপরি স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগি করে তৈরি বলে চাহিদা ও গ্রাহকপছন্দের শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ। খবর এনবিএসের