গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- রাজশাহীর বাগমারা শ্রীপুর খামারপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আমিনুল ইসলাম রুমি (২৩) ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এনামুল হক সবুজ (২২)। তারা দুজনই এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। রুমি বাগমারা ডিগ্রি কলেজ থেকে আর সবুজ রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে।
মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার খামারপাড়ায় অভিযান চালিয়ে রুমিকে এবং বাগমারার রামগুইয়া গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে সবুজকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভুঁইয়া জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুজন জঙ্গি মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিল। তারা বাগমারা হাসপাতালপাড়া এলাকার হোমিও চিকিৎসক নীরেন্দ্রনাথ সরকারকে হত্যার পরিকল্পনা করছিল।
এসপি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে গ্রেপ্তারকৃতরা প্রযুক্তির ব্যবহার করতো। এ জন্য তারা ফেসবুকের পাশাপাশি ‘থ্রিমা’ নামে একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করতো। গ্রেপ্তারের পর তাদের দুজনের স্মার্টফোনেই থ্রিমা সফটওয়্যারটি ইন্সটল পাওয়া যায়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আনসার রাজশাহীর আরো তিন সদস্যর নাম জানা গেছে। তারা হলো- বাগমারার খামারপাড়া গ্রামের আবদুল হাকিম মাস্টারের ছেলে শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ ওরফে রাহাত ওরফে তালহা(২৪), পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাড়ভাঙ্গুড়া গ্রামের রবিউল করিমের ছেলে রওশন আলী ওরফে আকাশ (২৪) এবং বুলবুল ওরফে আলামিন ওরফে বিল্লাল (২৬)। বিল্লাল সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জঙ্গিদের কথোপকথনের রেকর্ডও জব্দ করেছে পুলিশ। তারা শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটাতে প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলেও জঙ্গিদের এসএমএসে উল্লেখ রয়েছে। এ ঘটনায় বাগমারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।