খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান কতৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা ছাড়ার আর বেশী সময় নেই। ইতিমধ্যে তাদের নিজেদের মধ্যেই শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের এক সংসদ বলেছেন, শহীদ জিয়াউর রহমানই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। একথা বলে তারা প্রমাণ করেছেন, আওয়ামী লীগও মনে মনে বিশ্বাস করে শহীদ জিয়াই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। সুতরাং আওয়ামী লীগের মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটবে যে ঘটনায় তাদের নিজেদের পতন নিজেরাই ডেকে আনবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অধ্যাপক এম এ মান্নানের মুক্তির দাবিতে গাজীপুরে দোকানে দোকানে আলোচনা ও রাস্তায় প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। আর এই প্রতিবাদি এক সময় গণআন্দোলনে রুপ নেবে। আর এই অত্যাচারি, ফ্যাসিস্ট এবং অনির্বাচিত সরকার বেশী দিন টিকে থাকতে পারবে না। কারণ বিএনপি চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে দেশের জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলে তাদের ‘সরকার’ পতন নিশ্চিত করবে।
বাংলাদেশ একটি কারাগারে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির নেতা বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে বিরোধী দলকে নির্যাতিত হতেই হয়। আর তাই দেশের বিরোধী মত, জনগণ ও বিরোধী দল আজ কারাগারে বন্দি রয়েছে। কিন্তু এতে বিএনপির নেতাকর্মীদের হতাশ না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তিনি। জঙ্গিবাদ দমন না করে ক্ষমতাসীনরা বিএনপির সাথে ব্লেইম গেম খেলছে বলে মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে মোশাররফ বলেন, তিনি ‘প্রধানমন্ত্রী’ আমেরিকার যাওয়ার জন্য টিকিট করে রেখেছেন। কারণ বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেই তিনি ‘ প্রধানমন্ত্রী’ যাতে দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেন।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজী সায়েদুল আলম বাবুলের সভাপতিত্বে এবং মাহমুদুল হাসান রাজুর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক নেতা এম আব্দুল্লাহ, বিএনপির সহশ্রমিক সম্পাদক হুমায়ন কবির খান, সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার কাজী মারুফ হোসেন প্রমুখ।