Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট ২০১৬: দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর বড়পুকুরিয়া স্কুল এন্ড কলেজের নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির পূর্ব অংশে বসত ভিটা, স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা, সহ এলাকার সবকিছু কয়লা খনির মধ্যে চলে গেলে সরকার ঐ এলাকার জমি হুকুম দখলের জন্য সরকার তড়িঘড়ি করে প্রায় সাড়ে ৬শ একর জমি ক্রয় করে। তার মধ্যে বসত ভিটা, স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা, মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবকিছু পড়ে। খনির মধ্যে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা চলে যাওয়ার ফলে সরকারের ক্ষতিপূরণ পেয়ে বড়পুকুরিয়ার পূর্বদিকে ২ একর জমি ক্রয় করে সেই জমির উপর বড়পুকুরিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ভবন নির্মাণ হচ্ছে। ভবন নির্মাণের কমিটি নিজেরাই বরাদ্দের টাকা ব্যয় করছেন কলেজ নির্মাণে। সরকার ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দেন। সেই টাকা থেকে ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়েও ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বাকি টাকা দিয়ে নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। কলেজর ভবন নির্মাণে শুরু থেকে অনিয়ম দূর্নীতি শুরু হয়েছে। কলেজের নির্মাণ কমিটির সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম খলিল তার ভাটা থেকে নিম্ন মানের ইট, নিম্নমানের বালু, ও নিম্ন মানের রড, ক্রয় করে ২০১৬ সালে কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বালু ব্যবহার করছে আর ভজনপুর থেকে বালু আনার রশিদ দেখানো হচ্ছে এবং যে ইট ক্রয় করা হচ্ছে সেই ইটের গুণগতমান ভাল নেই। প্রত্যেক গাড়ি থেকে ১০০ থেকে ১৫০ ইট চুরি হয়ে যাচ্ছে। এতে করে কলেজের অফুরন্ত ক্ষতিসাধন হচ্ছে। নির্মাণ কমিটির সভাপতির ভাটা থেকে ইট ক্রয় করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নির্মাণ কমিটির সদস্য মোঃ ময়েন উদ্দিন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, কমিটি কাজ করছে, দূর্নীতি হলে কমিটি দেখবে। আপনার দেখার প্রয়োজন নেই।
এলাকাবাসী ও ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক মহল বলেন, কলেজ ভবন যেভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে অনিয়ম হচ্ছে। সরকারের বরাদ্দের টাকা সঠিকভাবে এখানে ব্যয় করা হচ্ছে না। বরাদ্দের অনেক টাকা ভূয়া ভাউচার দিয়ে বর্তমান কমিটি ও আগের কতিপয় ব্যক্তি আত্বসাত করেছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী এবং অভিভাবক মহল কলেজ নির্মাণের অনিয়ম দূর্নীতি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এবং জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।